। দোসর।


   ( আইজিয়াস : রাজা Aegeus)


শরীর যখন বাঁধ মানেনা , সঙ্গী পাওয়া সহজ,
শরীর যখন বাগ মানেনা, তখন কি কেউ থাকে,
যখন সময় সব খেয়েছে  , মন্ত্রী ঘোড়া গজ,
কিস্তিতে তাও যে বাধা দেয় , দোসর বলি তাকে।


চুমু গোলাপ ইত্যাদি সব যুবাকালের দান,
বয়েসকালে ফিকে যখন, ডাইরি পাতায় স্মৃতি
হলুদ পাতায় বৃদ্ধ ডালে বন্ধ পাখির গান,
চশমা চোখেও ঠোকর খাওয়ার যখন পরিস্থিতি,
নষ্টি করার বয়েস গেছে, যষ্টি থাকে হাতে,
খাওয়াতে না ওষুধে হ্যাঁ রুটিন জুড়ে ধূসর,
পথিক যে মন সঙ্গে চলে বুড়ো হওয়ার সাথে,
সায়াহ্ণে সেই দরজা খোলা মানুষ আসল দোসর।


হোয়াটসঅ্যাপে সুপ্রভাতের লিস্টি চলে বেড়ে
ভারচুয়ালে সুনামি হয় বন্ধু হবার ঢেউ
হারিয়ে গেলে অন্ধকারে হঠাৎ বরাতফেরে,
হাত বাড়ালে বাতাস শুধু ,ধরবার নেই কেউ।
একলা কালোয় মন্দ থাকা, নির্জনতার বন্দী
অদৃষ্টতে হঠাৎ তেমন জীবন লেখে যদি
বিষণ্ণতা স্থাবর হওয়ার করলে অভিসন্ধি
আইজিয়াসের আস্তাবলে কেউ যদি হয় নদী,
দরজা ভেঙে শর্তবিহীন আলো ঢোকায় ঘরে
ধমকে বলে, এক্ষুনি ওঠ, ধাষ্টামোটা ছাড়,
দুঃখগুলোর ক্ষত সারায় আজব ছুমন্তরে,
দোসর ছাড়া অন্য কিছু কি হবে সে আর!


বন্ধ কথায় ভাবনাকে যে বইয়ের মতন পড়ে
হাতের সাকিন যার পাওয়া যায় হাত বাড়ানো যেই
নোঙর যে লোক বাদবাকি সব উড়িয়ে নিলে ঝড়ে
মোটের ওপর, যাকে ছাড়া চলার উপায় নেই....


প্রেম কলহ ভাগাভাগির  দোসর হবে সে-ই।


আর্যতীর্থ