। দুই শিক্ষক।


তিনি শেখাচ্ছেন, বিশ্বাস সহজে কাউকে কোরোনা।
করলেও, খুচখাচ সন্দেহ পুষে রাখা ভালো।
তিনি শেখাচ্ছেন, দুধ থাকলেই লোকে দিতে চায় চোনা,
কিভাবে গুলায় লোকে আগুন আর আলো।
শেখাচ্ছেন  সাবধানে চলতে, মেপে কথা বলতে,
বলছেন বন্ধুদের চিনতে হয় দুঃখ আর  দুরবস্থায়
বোঝাচ্ছেন প্রতিটি সম্পর্ক আসলে জীবনের সলতে,
পোড়ালে সে আলোয় নিজেকেও চেনা যায়।
তাঁর শেখানোতে আনমনা হলে মহা মুশকিল,
পথের মোচড়ে দিকভুল হবে নিশ্চিত,
রোজ কিছু বিস্ময় নিয়ে আসে দিনের মিছিল,
তিনি বোঝান রোজ, কিভাবে সামাল দেবো হার আর জিত।


আর একজন আছে, যে বলে পৃথিবীর দিকে হাতটা বাড়িও,
বাঁচার মানে বুঝতে অনুভূতি আগে রেখো যুক্তির থেকে।
ঠকলে ঠকবে, তবু গতানুগতিক থেকে জীবন বাঁচিও,
রোজ সেজে ওঠো দিনে নতুন আর অচেনাকে মেখে।
সে বলে, কাউকে ভালো লাগলে এগিয়ে আলাপ করো
কারোর প্রেমে পড়লে যাও গিয়ে তাকে বলে দাও,
মনে রেখো, বিনা চেষ্টার থেকে হেরে যাওয়া প্রিয়তর,
স্বপ্ন ভাঙলে তার টুকরো কুড়িয়ে নিয়ে আবার বানাও।
বলছে সে বিশ্বাস করো, ভরসা করতে শেখো বন্ধুকে,
জীবনের স্বাদ শুষে সন্দেহ করে তোলে বিস্বাদ তেতো,
সবটা মগজ নয়, অনিবার আশা কিছু জ্বলে থাক বুকে
যে মানুষ ভালোই বাসেনি, গোটা আয়ুকাল ধরে মরে আছে সে তো।


এই দুই শিক্ষক রোজই শেখান এসে জীবনের কথা,
কতটা কে শেখে  শেষ অবধি অবশ্য তা পোড়ো’র ওপরে
‘সামলিয়ে চলো পথ’ সাবধান করে যান  শ্রী অভিজ্ঞতা,
‘ স্বপ্নে আস্থা রেখো’ ভালোবাসা দিদি বলে স্নেহ মাখা স্বরে।

আর্যতীর্থ