। দুনিয়াদারি।


ওরা সব শুয়ে আছে। শব , নাকি শবের মতন?
ওদের ঘিরেই চলে ঠেলাঠেলি চাপানউতোর, কার ভাগে যাবে সেটা নিয়ে গুঞ্জন।
অথচ ওদের কোনো ভাগ নেই তাতে, ওদের ভূমিকা নেই প্রার্থী বাছাতে,
আগামীতে ওরা ঠিক কোনদিকে যাবে, ঝালে ঝোলে অম্বলে ঠাঁই কই পাবে,
কিংবা ওদের ভাগে কোনো ঘরে জায়গাটি আছে কি আদৌ,
সে ব্যাপারে ওদের মতামত নিয়ে নেই ভাবনায় কেউ।
ভিড় ঠেলে কারো কারো ছটফট করা চোখে পড়ে, যেন সে জিয়ন্ত কিছু বেশী,
তড়িঘড়ি তাদেরকে কড়া নজরে রেখে জবরদখল নেয় কিছু মাংসাশী,
টাটকা মগজ খেতে যারা ভালোবাসে। বিনাবাক্যে মালিকানা মেনে নেওয়া ঝাঁকে,
এদিকে ওদিকে কিছু খলবলে বেমানান পলাতক থাকে, প্রতিকূল আবহাওয়া যাদের বাঁচার ইচ্ছেকে দমাতে পারেনি,
তারাও বিক্রী হবে, সে কথা জেনেও তারা শেষ ঘাই মারবার আশা ছাড়েনি।
অবশ্য লাভ কিছু নেই, যাবতীয় প্রতিরোধ  ভেঙে যেতে পারে ক্ষমতার এক তুড়িতেই,
তবু কিছু নির্বোধ শেষশ্বাস ইস্তক লড়াই চালায়,
জিত চিরকাল হয় যাদের পকেট ভারী, এ নিয়ম পৃথিবীর পান্থশালায়।


নাগরিক হোক বা বাজারের মাছ, ক্ষমতা যাদের হাতে, তারাই খরিদ করে দুনিয়া চালায়।


আর্যতীর্থ