। এই চারদিন।


কোণা ভাঙা জীবনের অকুলান দিনে চলো ভালবাসা লিখি।
পুজো মানে সামাজিক শামিয়ানা রিফু করা মিলন প্রতিকী,
সেই কথা ভুলে গেলে ভগবান পাপ দেবে খুব।
যে যেখানে জল খাক দিয়ে চুপডুব,
এ চারটে দিন নয় শিবের বাবার খোঁজে সেইদিকে যাওয়া, ভেসে যাও, গা মাথায় মেখে নাও ভিড় ছোঁয়া হাওয়া।
ওই ভিড়ে আমরা সবাই,
নামে আর কামে যারা বস্তুত মাধাই জগাই ,
যাদের জীবন কাটে হাতে মুঠোফোন ধরে শহরে ও শহরতলিতে,
এইবারে ভিড় হয়ে চলো ঘুরি চারদিন অলিতে গলিতে।


শ্রীভূমি চেতলা বা মুদিয়ালি হতে পারে, কিংবা বাবুবাগান ত্রিধারাতে ভিড়,
আমাদের তিরতির রোজ বওয়া ধারাগুলো
নদী হয়ে ঢেউ তোলে আজ,
এসো ছোটো হয়ে যাই, সে কাজ করতে ছুটি যেগুলো মানায় না বয়েস আন্দাজ।
ডাক্তারী ধমককে দূরে রেখে চলোনা সাঁটিয়ে দিই রোল চাউমিন,
(ভাগাড়ের বিশুটা যে জামিন পেয়েছে জানি, এ শহর পাল্টাবে তার আশা ক্ষীণ),
তবু সেইসব মেনে নিয়ে যুক্তিকে বলি আজ আনদিকে দ্যাখ, হেঁটে হেঁটে আজ খাবো, পুজোর সোয়াদ নেবো, দরকারে বাড়ি ফিরে দুটো Rantac.


চারখানা মোটে দিন, এসময় মারামারি, রাজনীতি থাক, কাজনীতি কার কোথায় গলদ,
মনখারাপিয়া সেই দাবীর সনদ রাজপায়ে পৌঁছাবো অন্য কখনো ।
কান পাতো বন্ধুরা,ভালো করে শোনো,
মন্ডপ থেকে ডাকে ঢাকের আওয়াজ,
কোথাও কোথাও আজ একমনে  গাইছেন লতা আশা কিশোরকুমার,
মুহূর্তগুলোতে অনাবিল সুখ মেখে ধুন্ধুমার না বাঁধালে চলে? এসো প্যান্ডেলে ঘুরি, আজ নয় যাওয়া ওই একঘেয়ে মলে।


সপ্তমী ঘোরাফেরা, অষ্টমী অঞ্জলি, কোথাও খিচুড়িভোগ ঠিক জুটে যাবে,
জীবনে আনন্দ ভরি, বড্ড শুকিয়ে গেছে হাসির অভাবে। পুরোনো বন্ধুদের ব- কার চ-কার দিয় কথা বলবার এক বেলা খুঁজে নিয়ে,
ফের চলে যেতে পারি ফেলে আসা চা-দোকানে, হেঁটে যাই স্মৃতিপথে ধার দিয়ে দিয়ে।
মোটকথা , এই চারদিন একা থাকা নয় কারো মোটে,


কে জানে ভবিষ্যৎ, ধুকপুকে বুকে আর কটা পুজো জোটে..


আর্যতীর্থ