। ইঁলেকশঁন।


চাঁদনি রাতে জটলা করে গুচ্ছ খানেক পেত্নীরা
গন্নাকাটার বিশখানা বউ, মামদোভূতের নাতনীরা।
শান্ত থাকা পান্তভূতও যোগ দিয়েছেন এই গ্রুপে,
আলেয়াভূত জ্বলেন নেভেন, আছেন তিনি ‘নেই ‘ রূপে।
সভাপেত্নি হবেন যিনি, শুধু তাঁরই পাত্তা নেই,
দাবীদাওয়ার আলোচনা, অগত্যা সেই গাড্ডাতেই।
গাইছে শিয়াল হুক্কাহুয়া, পৌঁছালো চাঁদ মাঝরাতে,
হালকা হিমেল কুলোর বাতাস ঢেউ দিয়ে যায় পাঁজরাতে।
এমন সময় হুউউশ করে এক দমকা হাওয়া আচমকা
ডাইনিবুড়ি ঝাঁটা চড়ে বম্বে সে ভাই আ টপকা।
বলেন তিনি ব্যপারটা কি, আজকে কিসের মিটিং ভাই,
মেমভূতদের পার্টি ছিলো, গচ্চা গেলো ইটিংটাই।
সবাই বলে বসুন ম্যাডাম, গোবরগোলায় দিন চুমুক,
সভাপেত্নী আসার আগেই, একটু করুন উচ্ছেমুখ।
(তোমরা যাদের ভূতের রাজার আদব নিয়ে বিদ্যে নেই,
তাদের জানাই, অতিথিদের আপ্যায়ন হয় তিক্ততেই)
হঠাৎ মেঘের ঘেরাও হয়ে আড়াল হলো চন্দ্রমার,
সভাপেত্নী ওই তো এলেন, তাই বুঝি সব অন্ধকার।
সাদা শাড়ি , সাদা শাঁখা , দাঁতের সারি জ্বলজ্বলে,
শাঁকচুন্নি ঢোকেন সভায়, পেত্নীরা সব জয় বলে।
মাইক ধরে খোনা গলায় চুন্নি করেন ঘোষণা,
ভূঁত মেঁয়েরা ,তোঁমরা মনে উচ্চাঁশা কি পোঁষো না?
বরাবঁরই ভূঁত ছেঁলেদের জোঁটে খালি সম্মানই,
ভঁয় দেঁখাতে মঁটকাতে ঘাঁড়, আঁমরা কিছু কম জানি?
কিন্তু দেঁখো ভূঁতের নেঁতা থাঁকবে ব্রহ্মদত্যি সেই,
ভূঁতের সঁভায় ভূঁতনারীদের তঁরফে কেউ সত্যি নেই।
মামদো কঁরেন মামদোবাজি, একানড়ে নড়েন না,
কবন্ধ আঁর গন্নাকাটাও গদীর থেঁকে সরেন না।
ভূঁতের রাঁজার সঁভা জুঁড়ে এঁরাই থাকেন অনন্ত,
বঁদলাবে আর কি করে হাঁল, নেই যে কাঁরো মরণ তো!
আঁমরা মানে পেত্নীরা আঁর সইবো কেন এই শোষণ,
ভূঁতের সঁভায়  আঁসন পেঁতে কঁরছি দাবী নির্বাচন!
যেই না বলা, সারা মাঠে  হাড়ে তালি খটরমটর,
উল্লাসেতে পেত্নীরা সব হুহুংকারেন মাঠের ভেতর।
প্যাঁচা চেঁচায় চ্যাঁ চ্যাঁ করে, শিয়াল চেঁচায় খুব জোরে,
খোনা কোরাস বাতাস কাঁপায়, ‘ ইঁলেকশঁনে লড়বো রে!’


শেষ খবরে জানা গেছে ,( বলছি তোমায় খুব গোপনে)
ভূতের রাজা রাজি আছেন প্রথা ভেঙে ইঁলেকশঁনে।
দিল্লী গেছেন প্রতিনিধি শিখতে সেসব ব্যাপারস্যাপার
( ই ভি এম যে কোথায় উধাও, আশা করি বুঝলে এবার)


আর্যতীর্থ