। হাঁপ।


কলকাতা শ্বাস পাকড়াও, ফুসফুস জ্বলে যাবে বিষে
কি হবে হাঁটতে গিয়ে পথে, স্বাস্থ্যের ব্যর্থ হদিশে
মৃত্যু কাশছে বুক ধরে, খকখক তোমার উঠোনে,
অসুখে মরছো তিলোত্তমা ,তিলে তিলে জমা প্রদূষণে..


অথচ তোমার রাস্তাতে, তুলনায় কম গাড়িঘোড়া
দুই থেকে তিন গুণ বেশি, বুকে নেয় বাকি মেট্রোরা
অথচ তোমার চারিদিকে, ধোঁয়া নেই কারখানা থেকে
তবু কেন প্রতি প্রশ্বাসে, বিষ নিই বাতাসকে ছেঁকে।


এশহরে মাঠ কমে আসে, আশপাশে শুধু কংক্রীট,
যেখানে সবুজ ছিলো আগে, আজ তার বুকে চেপে ইঁট
আধুনিক বনবার ছলে, আমরা খুঁড়েছি পাতকুয়ো
কেউ যদি বিপরীতে বলে, ঘ্যাঙরঘ্যাঙরে দিই দুয়ো।


ছিলো তেরোভাগ খোলাজমি, রঙবাজী নামিয়েছে পাঁচে,
প্রোমোটার খাবলা মেরেছে, অলি গলি আনাচে কানাচে
কারা যেন ফিসফিসে বলে, ইঁট পিছু কমিশন বাঁধা
তাই নাকি নাকে তেল দিয়ে ,ঘুম যায় রাজার পেয়াদা


ক্রমেই বাড়ছে হেঁপো রোগী, ফুসফুসে কাঁকড়ার দাঁড়া
তবু ছট, তবু দেওয়ালিতে, বাতাসকে কালো করে কারা
কলকাতা, কষ্টকে চেপো, দূষণের শ্রীবৃদ্ধি হোক,
প্রতিবাদী মার খেয়ে শোনে, ওরা সব রাজাদের লোক


আমাদের স্পর্ধাটা দেখো , মারি তবু গাছ প্রতিদিনই
কলকাতা ক্ষমা করে দাও, আগামীকে বাঁচাতে পারিনি।


আর্যতীর্থ