।হেমলক।


দেখুন, আপনি যে  অপরাধী সেটা ঠিক করা আছে।
শাস্তি কতটা, প্রাণ নেবো নাকি যাবজ্জীবন, প্রশ্ন সেটাই ,
ফরিয়াদ করে সাক্ষীসাবুদে লাভ নেই কোনো আমাদের কাছে
ক্ষতের কাহিনী লেখা হয়ে গেছে, আমরা কেবল লবণ ছেটাই।


সপক্ষে কিছু বলবার আছে? নথিতে নানান যুক্তি সাজানো?
বেশ বলবেন। আমাদের নয়, চুপিচুপি ঘরে আয়নাতে দেখে।
আমাদের চোখ আগে থেকে বাঁধা, কঠিন তুলোতে বন্ধ দুকানও
বলে দেওয়া আছে কে অপরাধী , মিডিয়া সুবাদে জানেও অনেকে।


আমরাই বলি সূক্ষ্ম বিচারে,  জ্ঞানের পরিধি কোথায় আটকে,
যে কাজ আপনি করেছেন সেটা দৈর্ঘ্যে প্রস্থে কতখানি পাপ,
নস্যাৎ করে দিতে পারি মুছে অভিজ্ঞতার তাবত পাঠকে,
ঠিক যদি করি আপনিই দোষী, বিরুদ্ধ নথি ধুয়ে মুছে সাফ।


কাঁদছেন নাকি? ঘোর অপমানে উঁচু মাথা হেট সামাজিকভাবে,
অর্জিত ছিলো যত সম্মান, কলমের খোঁচা দিয়ে তা কেড়েছি,
কিন্তু জানেন, এখন বাজারে এসব চটক পাবলিক খাবে,
ওরা জানবেনা ওদেরই মদতে ওদের কাছের  বন্ধু মেরেছি।


সে যাকগে যাক। বলে দিই আগে, অপরাধী স্থির বিচার শুরুতে,
শাস্তিটি শুধু সাজাবো যতনে, যুগ যুগ ধরে চেনা গেম ছক।
ওপরমহল যেমন বলেন , জল রেখে দিই উঁচুতে নিচুতে


এবারে আসুন, সোনামুখ করে চোঁ চোঁ চুমুকে খান হেমলক।


আর্যতীর্থ