। হ্যাঁ বলে দাও।


রাজারা সব যে যা বলুক, না বোলো না,
হ্যাঁয়েতে হ্যাঁ মেলাও সোনা বাঁচতে হলে।
যখন রাজা নাচতে বলেন , নাচ দেখিও,
যে দিক দেখান সঠিক বলে , ঘাড় বেঁকিও।


এটাই নিয়ম সর্বযুগে, রাষ্ট্রের দাস ঈশ্বরেরাও
বদলিয়ে যান, নেই হয়ে যান, কম বেশি ভাঁও
সবই রাজার ইচ্ছেমাফিক। কোনদিকে যায় ভক্তট্রাফিক,
ফুড়ুৎ বাঁশির নিয়ন্ত্রণে তিনিই রাখেন।
ধর্ম তো তাই, যেদিক পানে রাজা বাঁকেন।


ধর্মত আর তুমিও বাপু গোল কোরো না।
উল্টোদিকে চেঁচাচ্ছে যে, পোঁ ধোরো না,
ও লোকগুলো চেঁচিয়ে যাবে, নিজের কাজটি কেঁচিয়ে যাব
সে কোন আদ্যিকালের থেকে এই ভূমিকায়,
নাড়াচ্ছে না মাথা রাজার ঝুমঝুমিটায়।


তোমার অনেক শিকড়বাকড়, ছা-পোষা লোক।
খুঁটিনাটির খিটিমিটি, জীবন বাঁধা বাধ্যবাধক
মাসমাইনের বিদুর খুদে।বিরোধ করার চওড়া সুদে
নড়বে শিকড়, ঘর বয়ে ঝড় আনতে যাবে কোন সে বোকা?
তাই বলিকি , ভেবো না আর, কুর্নিশে হোক মাথাঝোঁকা।


হ্যাঁয়েতে হ্যাঁ মেলাও সোনা, বাঁচতে হলে।
ঘোড়ারা সব মুখিয়ে আছে আস্তাবলে,
ক্ষুরের ঘায়ে গুড়িয়ে দেবে  নটেগাছটি মুড়িয়ে দেবে,
মুখ নিচুর এই জীবন বাছো, তোলার কি দরকার?
যেমন রাজা বলেন বাছা নাড়িয়ে দিও ঘাড়।


তোমার এমন নীরবতাই রাজার অহঙ্কার।


আর্যতীর্থ