। জনৈকদের লিপিকার।


রাজমিস্তিরিদের কেউ মনে রাখেনা, সবাই সৌধ দেখে।
শেষে তার কে মালিক, ক্ষীণস্মৃতি ইতিহাস সেই নাম লেখে,
বাকি সব সময়ের কুয়াশায় আবছায়া নামহীন অবয়ব,
তারুণ্য উজ্জ্বল হলে কে আবার মনে রাখে কার কোলে শৈশব!


যে তন্ত্র চলুক না, আলোচনা যত হোক জনতাকে ঘিরে,
একখানা মুখও কেউ আলাদা রাখে না মনে সংখ্যার ভিড়ে,
ব্যক্তি বদলে দাও, কেউ বুঝবে না, প্রশ্ন হবে না কোনো সে কোথায় গেলো,
নেতাই প্রমুখ শুধু , নেতা তৈরির লোক চির-অগোছালো।


কারা করে কথকতা জনতার? জন্ম , জন্মদান, মৃত্যু তারপরে,
মাঝের সময়টুকু অন্য নামের ফলক পালিশে পালিশে যারা চকচকে করে,
সমস্ত যুদ্ধ আর সব মন্বন্তরে যারা শুধু নামহীন শরীর তালিকা
তাদের ঘুপচিঘরে অস্পষ্ট কথাদের বলার জন্য কার মুসাবিদা লেখা?


ইতিহাস করেনি তা, সে তো রাজা বাদশার অন্নদাস চিরকাল,
সে লেখে বিজয়লিপি, জন-বারমাস্যা তার কাছে ছেদো জঞ্জাল।
ধর্মের দায় নেই, তার কাছে সবাই অকিঞ্চিৎ  প্রবর্তক ছাড়া,
মানুষে অরুচি খুব ,নিয়মের বেড়াজালে কেবল ঈশ্বরকে সে দেয় পাহারা।


‘জনৈক’দের কথা প্রজন্মে নিয়ে যেতে মানুষের সম্বল শুধু কবিতারা।


আর্যতীর্থ