। যোগ্যতা।


শোকসাথী মোমবাতি কত আর জ্বলে,
ঘটনারা চলে যায় স্মৃতির দখলে।
অ-বদল রোজকার থোড় বড়ি খাড়া, এ রাগ পাহারা দিতে সময় কোথায়,
দৈনিক রুটিরুজি মন নিয়ে যায়।


তবে কি ব্যর্থ যাবে এই ফুঁসে ওঠা?
কাগুজে আগুন হওয়া চেনা গল্পটা পুনরাবৃত্তি হবে ইতিহাস মেনে?
কালো ফিতে ছেড়ে ডি পি ফের স্বস্থানে, বলিদান মানে ভুলে নির্লিপ্ত শব্দের ঝাঁক,
তবে কি আবার নেবে নিরাপদ বাঁক স্বার্থের দিকে?
অন্যথা হবে তার সেই আশা ফিকে।


একথা স্বীকার করা ভালো,
এখনও জানি না কেউ কোন পথে আলো।
নাগরিক কোনদিক নিলে সৈনিক প্রাণহানি আটকানো যাবে, সে পথ দেখাবে বলে বাতিঘর জ্বলতে দেখিনা,
সীমান্তে গোলাগুলি চালু থাকে রুকাবট বিনা।
কেউ যদি বলে দেন শব্দসমর্থন ছাড়া আমজনতার কি করবার আছে,
গুচ্ছের গালি খাওয়া অপারগ দেশপ্রেমী সেটা করে বাঁচে।


অধমের জ্ঞান নেই কিছু সামরিক,
সৈনিক দৈনিক যে কষ্টে লড়ে, সে সব লাঘব বলো করবো কি করে?
আমরা জ্বলতে পারি ভেতরে ভেতরে, প্রয়োজনে যেতে পারি মোমের মিছিলে,
জানি এ রক্তঋণ অপূর্ণ থেকে যায় এইটুকু দিলে,
কিন্তু কেউ তো বলো করবোটা কি?


তখনই ফিসফিসিয়ে কেউ কানে বলে ওঠে,ছাড়ো হে চালাকি।
এমন নাগরিক হও, যার জন্য দেওয়া যায় প্রাণ অক্লেশে ,
যারা লড়ে, যারা মরে দেশ ভালোবেসে,
তারা যেন জেনে যায় ঘুমোবার আগে,
প্রতি নাগরিকে এক ভারতীয় জাগে।


আমাকে বাঁচাতে যদি ওদের লড়াই, আমারও তো বাঁচবার যোগ্যতা লাগে।


আর্যতীর্থ