। জয় বাবা সক্রেটিস।


দামী মলে গিয়ে ধাঁধানো বিপণি,
‘আসুন কিনুন’ এ সুবেশা তরুণী
মন লোভাতুর, হোক বিকিকিনি,
পকেটে ক্রেডিট তাস,
একবার যদি মেরে খুব কেতা,
ধুলো ঢেকে সাজি অভিজাত ক্রেতা
কি হবে যে পরে সকলে জানে তা
শোধ দেবো বারো মাস।
এই লোভে পাপ করতে খতম,
নজর ঘোরে না যাতে একদম
মারতে ধমক ‘চুপ বেশরম,
কেন কুনজর দিস?’
অস্ত্র অমোঘ করেছি তৈরী
পকেট ও শান্তি হবেনা বৈরী
চেঁচাই ইচ্ছে যেই না স্বৈরী
‘জয় হে সক্রেটিস!’


সব মুনি ছেড়ে এই বাবা ধরে
সত্যি বলছি প্রাণ এলো ধড়ে,
বিলাসের লোভে মাথা যদি ঘোরে
ওনারই শরণে যাই
যখনই দেখছি যা কিছু দামী
কেনার ইচ্ছে বনে পাগলামি
আগল আবার কষে দিতে আমি
গ্রীকগুরু নাম গাই।
তিনিই তো দেন সে অমর বাণী
কমবেশি যেটা সকলেই জানি
তবু ফের বলি চলো সে কাহিনী
ব্রতকথা এক যেন
একদিন ঋষি এক মেলা গিয়ে
সব নেড়েচেড়ে দ্যাখে মন দিয়ে
লোকে ভাবে আর দর্শন কি হে
মন মোহে আটকানো।


কুন্ঠিত স্বরে বলে ভক্তেরা
এতখন ধরে হলো ঘোরাফেরা
বলে দিন গুরু কি কি লাগে সেরা
সব কিনে নিয়ে যাই
সক্রেটিস মৃদু  হাসলেন শুনে
বললেন ওহে দেখলাম গুনে
কতকিছু আছে ছড়িয়ে জীবনে
যাতে দরকার নাই।
আহা জয় বলে সে গল্পখানা
আমারও মনের করেছি ঠিকানা
অকারণ দামী বিপণির হানা
যখনই বাড়ায় থাবা,
অমনি মন্দ্রে বলা সে মন্ত্রে
কার্ড আর হয়না সোয়াইপ যন্ত্রে
লোভ হেরে শোনে ভগ্ন দন্তে
‘জয় সক্রেটিস বাবা’।


তোমাদেরও বলি গিয়ে দামী মলে
পড়ে যাও যদি মোহের কবলে,
গ্রীক ঋষি যেটা গিয়েছেন বলে
শুরু করে দিও ভাবা।


আর্যতীর্থ