। জুঁই।


গোলাপ খুঁজছে দেখি সবাই ।
তবে কেন না বলে রাই?
যত বলি আনবো গোলাপ
বলে ‘ছাড়ো পাগুলে প্রলাপ,
জুঁই আর বেলফুল এনো’
আমি ফুঁসে উঠে বলি, কেন?
দিন আজ চুপচুপে প্রেমে
সবাই গিয়েছে পথে নেমে,
গোলাপের যত দামই হোক,
হুড়মুড় কিনছে তা লোক
অধমের মনে সাধ জাগে
কবরী সাজাতে অনুরাগে,
সেটাও বারণ কেন করো,
কিনবো গোলাপ খুঁজে বড়?


রাই বলে চোখে চোখ রেখে
গোলাপে ঠকতে যাবে কে?
মানছি দেখতে সুন্দর,
আর কোনো গুণ আছে ওর?
ও ফুল রূপসী শুধু ঢঙী,
প্রেম নয়, প্রেম সাজা সং-ই,
শুধু চোখ দিয়ে ভালবাসা
সে তো শুধু শরীরের ভাষা
মন ছুঁতে পাবো কোনখানে
সেই কথা গোলাপ কি জানে?
রূপগরবিনী ফুল ঝুটো,
এনে দাও জুঁই একমুঠো
অথবা বেলির মালা আনো,
চোখে সুখ, সাথে সুঘ্রাণও।
ঘরকোণে দিই যদি রেখে
মন সুখ শ্বাসে নিতে শেখে
দিন ভালো, ভারী ভালো যায়,
গোলাপে সে শান্তি কোথায়?


আমি বলি সে তো নয় হোলো
দেবী তুমি ঋতু সব  ভোলো
জুঁই বেলি এখনো ফোটেনি
তবে আমি কোথা থেকে আনি?
রাই কয় শিখবে হে কবে,
বলেছি কি আজই দিতে হবে?
রোজ ডে তো রোজ হতে পারে,
জুঁই এলে ফুলের বাজারে,
তখন নাহয় এনো কিনে,
মনে করে , ভালো ফুল চিনে।


আমি বলি দেবী তাই হবে
দেখি জুঁই পাওয়া যায় কবে
আপাতত এটা বলো দেখি
একে আমি কার হাতে রাখি?
বলে দিই সামনে এগিয়ে
পিঠ পিছে ছিলো যা লুকিয়ে
রাই চোখ বড় করে বলে,
গোলাপ এনেছো তাহলে?
দেখো দেখি এত বড় পাজী,
এনে বলে গোলাপে কি রাজি!


গোলাপটা হাত থেকে নিয়ে
রাই দিলো খোঁপাকে সাজিয়ে
হেসে বলে, আপাতত ক্ষমা,
রাগগুলো করে রাখি জমা,
দেখি তার সুদ নিই কবে,
মনে রেখো, জুঁইও দিতে হবে।


আলতোতে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁই,
বয়ে গেছে, গোলাপ না জুঁই..


আর্যতীর্থ