। কথা কূট সমান।


মগজ জুড়ে চলছে এখন অন্ধরাজার রাজ্যপাট,
সত্য বসে ধুঁকছে কোণায় মিথ্যারই আজ মান বিরাট।
দুর্যোধনের পাল্টেছে নাম, লোভ হয়েছে আজকে সে
ধর্ষকামের ঝরছে লালা দুঃশাসনের রাজবেশে।
ঈর্ষাকাতর মনটা এখন ছল কপটে সিদ্ধ বেশ
পাশার দানে সবটা নিতে লজ্জাবিহীন এ অভ্যেস।


শিরদাঁড়ারূপ যুধিষ্ঠিরের ঠিক লাগে না ভাবগতিক
ধমক খেলে নুইয়ে পড়া ধর্ম সেটাই সাম্প্রতিক।
নিজের ওপর ভরসা নাকি ভীমের মতন তাকতদার,
রোজ কাঁদে সে হেরে গিয়ে এমন খারাপ হালত তার।
সব কাজেতেই নিষ্ঠা রাখা , ধনঞ্জয়ের স্বভাব তাই
নেই কাজে সে ভাজবে কি খই,  সেই সওয়ালের জবাব চাই।
স্বপ্ন এবং আশার যমজ, মাদ্রেয়দ্বয় খুব হতাশ,
বাজার বলে কলার ধরে, এখনো কি বাঁচতে চাস?


ভীষ্ম হেন ছাতার মতন, মাথার ওপর বাবার হাত
আপনি বাঁচলে বাপের নামে, আজ করেছি ভিন্ন পাত।
মা তো ছিলেন অস্ত্রগুরু, বিষাদ মারেন এক তিরে
কেমন আছেন তা কে জানে, খোঁজ রাখিনা কাজভিড়ে।
হচ্ছে না যে কিছুই ভালো, গাইলে বিবেক সে সুরকে
ভীষণ রকম ধমক দিয়ে, দূর করে দিই বিদুরকে।


রোজনামচার প্রতি পাতায় এমন যদি বিষ ঢোকে
আসন পেতে বসতে দেবো কোথায় আমার কৃষ্ণকে?


আর্যতীর্থ