। কথায় কর।


ধরা যাক, কাল থেকে বসে গেলো ফেসবুক কর।
কমেন্ট , লাইক বা কবিতা পোস্টানো, করা যাবে গাঁটকড়ি খরচার পর,
করে ফেলা প্রতি মন্তব্য পিছু, কিছু টাকা রাজকোষ গন্তব্যে যাবে,
এঁদো কথা, ছেঁদো কথা, কিংবা ভীষণ দামী কথা কিংখাবে,
সকলের এক হাল। ‘ফেলো কড়ি লেখো পরে’ নীতি যদি হয়,
তবেও কি অবিরাম মন জুড়ে চলবে এ কথা- কনভয়?


কিংবা ধরে নাও, হোয়াটসঅ্যাপে শুধু দশটা মেসেজ করা যাবে।
তার পরে যেই কেউ গ্রুপে গ্রুপে গুড মর্নিং জানাবে,
সাথে সাথে ব্যাংক থেকে টাকা কেটে নেবে তার আধার মিলিয়ে,
দেখতাম তবে কত  ছুটতো যত অহেতুক ফরওয়ার্ড নেটওয়ার্ক চোরাপথ দিয়ে।
হাতি  থেকে আলপিন , সবকিছু নিয়ে এত ভুরি ভুরি চলছে প্যাচাল,
বাক্যে লাগালে সীমা হয়তো তফাত হতো, দু চারটে হীরে থেকে যত জঞ্জাল।


তখন হঠাৎ করে , কথারা ভীষণ দামী হয়ে যেতো নেটে।
কবিতা পোস্টানো কিছু ধীরলয়ে হতো, পান্ডুলিপিতে তারা ঘুরতো পকেটে।
কবিতা গল্প সব সিনেমার মতো তবে  হতো হিট ফ্লপ,
এখন যে সবটাতে কাঁচকলা উঠে যায়, বোঝা যেতো কত শতাংশ তার ঢপ।
দুম করে খুশিমতো আনাপশানাপ লিখে তবু পার পাওয়া এই আর্যতীর্থ,
হয়তো বা একখানা কমেন্টের আশায় গ্রুপে গ্রুপে সার্ফ করে ফিরতো।


তা হোক, তবুও তেমন হলে, জীবনে কমতো কিছু ছেঁদো কথা ভিড় তো...


আর্যতীর্থ