। কেন কবি নই।


শব্দের আঁকিবুকি কল্পনা ক্যানভাসে,
যেভাবে কবির কাছে কবিতারা সেজে আসে
কলম-সোহাগী সেই কথাদের মন পেতে সাধ জাগে বড়।
খর যে তীক্ষ্ণ কথা প্রতিবাদে দড় ,
তারা পেলবতাহীন নগ্ন রুক্ষতায় স্বভাবত অকাব্যিক হয়,
বাস্তবিকের পথ নয় মধুময়, বরং ঠোকর খাওয়া চলার সময়,
সেটা দস্তুর। প্রসাধন থেকে তারা বহু, বহু দূর।
তবু তো ইচ্ছে করে, অনাবিল প্রেম এসে কলাপীর নাচে,
আমার সৃষ্টি ছেয়ে বেপরোয়া বাঁচে,
রোজের পেষণ ভুলে শব্দেরা দোলে যেন ধ্রুপদী পেখমে,
ছাইপাঁশ যা লিখি কবিতার ভ্রমে,
একদিন সে ধুলোরা সোনামুঠি হবে কোনো অনিন্দ্য দুর্ঘটনায়,
কলম বউনি করি রোজ সে আশায়।


তারপর , তারা আসে। বিষমেশা নিঃশ্বাসে,
শিকারীরা কাঁপা বুক খুঁজে নেয় মাপা সন্ত্রাসে,
দেখি চারপাশে, মানুষের মৃগয়াতে নেমেছে মানুষ ।
ধিকিধিকি জ্বলে থাকা হিংসার তুষ,
পোড়া লাশ রেখে যায় সময়ের চৌকাঠে রোজ,
কিভাবে ফেরাবো তাকে, কিভাবে বলবো তবু জীবন সহজ,
বুঝতে পারিনা। বীণা পাণিতে তাই বাজেনা কখনো,
যখনই কলম খুলি, বেসুর বেতালা দ্রিমি তাণ্ডব শোনো।
জানি লাভ নেই, তবু মনপোড়া লাভাস্রোত উগড়িয়ে শান্তি তো মেলে,
কিভাবে দেখবো বলো, নীড়ে ফেরে কোন পাখি কুটো ঠোঁটে পড়ন্ত বিকেলে,
আমি যে দেখতে পাই পাখিটার দিকে তাক শত বন্দুক,
ট্রিগারে আঙুল রাখা ইচ্ছেমতন দিতে দুমড়িয়ে সুখ।


কলমেও আসে তাই বিষণ্ণ পৃথিবীর অসুখের মুখ..


আর্যতীর্থ