।খেলনা দিওনা।


এখন খেলনা দিওনা সান্টা, যুগটা খেলার নয়,
শৈশব নেই, সকলে এখানে তাড়াতাড়ি বড় হয়।
পয়সা যাদের রয়েছে এবং যাদের পয়সা নেই,
শিশুদের বেলায় দিশাহীন পাড়ি একই নৌকাতেই
ধনীর দুলাল দেড় বছরের থেকে চলে যায় স্কুলে
( ভাবীতে হয়তো জন্মের আগে সে দরজা যাবে খুলে)
গরীবের শিশু ছোটোবেলা থেকে খিদেপেট মানে বোঝে,
কিভাবে ভরাবে শৈশব কেটে সেসব উপায় খোঁজে।
দুটো রুটিনেই কেউ খেলবার সময় দেয়নি কোনো
হে সান্টা ক্লজ, খেলনা এনোনা, যুগের আওয়াজ শোনো।


অবশ্য তুমি পৃথিবীর এত জটিলতা জানো না কি
প্রতি বড়দিনে তোমার ওপরে আবার ভরসা রাখি।
তাহলে সান্টা, টেনে বড় করা শিশুদেরই কথা হোক,
কিভাবে ফেরাবে রূপকথাদের দিকে শৈশব চোখ।
বড়লোক শিশু কিছুই খায়না, সবেতে প্যাখনা তার,
গরীবের পেটে হাভাতের খিদে, খালি পাতে হাহাকার।
পেটে খিদে নিয়ে শুতে গেলে কেউ স্বপ্ন কিভাবে দেখে
ঢালাও খাবারে আবার স্বপ্ন ভুলভাল দিকে বেঁকে।
ও সান্টা তুমি লিস্টের থেকে খেলনাকে দাও কেটে
উপহার দাও , সব শিশু যেন ঠিকমাপে পায় পেটে।


আর যদি তুমি বুড়োধাড়িদের কিছু দেবে কিনা ভাবো,
হয়তো সুদিন অথবা প্রগতি উপহারে পেয়ে যাবো।
এদেশে স্বপ্ন বাঁচে না সান্টা, রাজনীতি গিলে খায়,
উপহার দাও , নেতাদের কাজ কথা যেন মিলে যায়।
ধর্ম লোককে আলাদা করেছে ঈশ্বর কেড়ে নিয়ে,
মানুষ কমেছে বড্ড সান্টা, ধার্মিক বেড়ে গিয়ে।
তোমার দেশ তো উত্তর মেরু, চারদিকে শুধু সাদা,
আমার এখানে ভাবনারা সব রঙের খোটায় বাঁধা
উপহার দাও এমন প্রিজম, আলো যার মাঝে ঢুকে
রামধনু রঙে স্বপ্ন আঁকুক ফের মানুষের বুকে।


দুনিয়ার এই ব্যাঁকাত্যাড়া রীতি প্রথমে সামলে নিও,
সব ঠিক হলে শিশুদের হাতে আবার খেলনা দিও।


আর্যতীর্থ