। খেয়ালি পোলাও।


এর পরে কি? দশ লাখ বিশ লাখ ইনাম, চাকরিতে এক দুই ধাপ পদোন্নতি,
সংবর্ধনা সভা, দায়সারা কিছু সর্ষের তেল বা হেল্থ ড্রিংকসের বিজ্ঞাপন..
ব্যাস। দায়িত্ব শেষ হলো আমাদের অবশেষে অলিম্পিকবিজয়ীর প্রতি,
তারপর টি ভি জুড়ে আই পি এলের খেলা, নিয়মিত নিশিদিন ক্রিকেটযাপন।


এভাবেই চলেছে, চলবেও বহুকাল বাকি খেলাধুলা। পদক আসুক যত,
ঘরে ফিরে পান্তাই জোটে আগামী চ্যাম্পিয়নের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে,
লাভলিনা মীরাবাঈ ওঠে স্রেফ অদম্য জিদে, মাঝপথে থেমে যায় কত,
গরীবের দেশ জুড়ে ক্রিকেটে নিলাম চলে, বিদেশী বিক্রি হয় কোটি টাকা দরে।


শত্রু ক্রিকেট নয়, প্লেয়ারেরা বস্তুত ব্যবসার কাঁচামাল, চাহিদার যন্ত্রে পেষাই,
আমরা শিয়রে তুলি একটা খেলাকে, ক্রিকেটারই শুধু হিরো প্রজন্ম জানে,
বাড়ি গাড়ি  নারী দেখে মোহিত মিডল ক্লাস খেয়ালি পোলাওয়ে আরো তৈল মেশাই,
যেখানে মিলবে মধু , স্বভাবত মৌমাছি দলে দলে ভিড়বে সেখানে!


কবে যে সময় হবে ক্রিকেট পেরিয়ে গিয়ে বাকি খেলাগুলোতেও একই মন দিতে,
দেড়শো কোটির দেশে কখানা কাংস্য শুধু , মেরে কেটে এক দুটো রুপো সোনা জোটে,
প্রতিভা রয়েছে কত পৃথিবী দেখতে পেতো অন্য দেশের মতো ঠিক লগ্নীতে,
মন্দির বদলিয়ে কুস্তি তীরন্দাজি সাঁতারের কাঠামোরা কবে যে চাহিদা হবে ভোটে!


স্বপ্ন তবুও দেখি কখনো অলিম্পিকে জন গণ বারবার বাজে আর ত্রিবর্ণ ওঠে,
অবরে সবরে নয়, লাভলিনা সিন্ধু বা মীরাবাঈ চানু , যে সময় নিয়মিত ভাবে যাবে ঘটে।


আর্যতীর্থ