। ক্ষ।


লক্ষ বারের বেশি লিখেও লক্ষ করিনি হে
য’ফলাটা ক্ষ’র পাশে ভুল করে যাই দিয়ে
ঠিক বানানই লক্ষ্য হওয়া ভাষাতে দরকারি
অলক্ষিতে অলক্ষ্য সব ভুল থেকে যায় ভারী


লক্ষ্মণ যে ছেলে ভালো, লক্ষণ তার কী?
ক্ষ হঠাৎ উপরি পেলো একটা ম’কার কি?
হ্যাঁ বা না’য়ে জবাব পেলে ক’এর পরে হ্রস্ব,
কি আর কী’র রহস্যটাও আজ অবধি অ-বশ্য।


ব্রাহ্মণ-য়ে যে দাঁড়িয়ে আছে ব আর ণ-এর মাঝে,
লক্ষ করো , সে অক্ষরও ক্ষ’র মতো সাজে।
হ’ য় হসন্ত ম’ যে কেন অন্য আকার পায় না,
লক্ষ লোকের লক্ষ সেটার লক্ষ্যভেদে যায়না।


ক’ হসন্ত মূর্ধণ্য ষ কোথায এবং কেন,
স্বরলিপির এ এক আজব প্রহেলিকা যেন।
যা হোক এবার লক্ষ করো, লক্ষ্যে থেকো স্থির
লক্ষ কলম লিখুক সঠিক বানানটা ‘লক্ষ্মী’র।


নয়তো ভাষা শিকার হবে বিচ্ছিরি ঝক্কি’র।


আর্যতীর্থ