। ক্ষুদিরামের পাশের বাড়ি।


ক্ষুদিরামের পাশের বাড়ির যে ছেলেটা,
বোমা বন্দুক থেকে শতহস্ত দূরে থেকে,
কিঞ্চিৎ লেখাপড়া, যথাবিহিত সংসার করে,
শোকাহত নাতিনাতনি রেখে চিতায় উঠেছিলো,
তার নাম জানো কেউ?


কানাইলাল দত্তের আগের রোল নম্বর,
যে সবসময় অঙ্কে আর সংস্কৃতে টেক্কা দিতো তাঁকে,
যে সরকারী চাকরিতে অনেক উপরে উঠে
শেষদিন অবধি মোটা পেনশনে
পায়ের ওপর পা রেখে কাটিয়ে গেলো,
মনে আছে তাকে?


আসফাকুল্লাহ খানের বড়দা রিয়াসাতুল্লাহ,
ভাইয়ের হয়ে লড়েছিলেন কাকোরি মামলায়।
বাঁচাতে পারেননি,
বন্ধু রামপ্রসাদ বিসমিলের মতোই,
ফাঁসি হয়েছিলো আসফাকের।
বড়দার নামটা তো জানলেই ,
আর কিছু জানো?
কোথায় ছিলেন তার পরে?


জানোনা।
তোমরা ক্ষুদিরাম, কানাইলাল ,আসফাককে চেনো।
তোমরা এদের নামে জয়ধ্বনি দাও,
মালায় ঢাকো ছবি।
পনেরোই আগস্টে ‘অমর রহে’র তালিকায়
এঁরা জ্বলজ্বল করবে চিরকাল।


অথচ তুমি আমি সব্বাই বাস্তবে
ক্ষুদিরামের পাশের বাড়ির লোক
কানাইলালের সহপাঠী,
আসফাকুল্লার বড়দা
হওয়ার জন্য কি চেষ্টাটাই করে চলেছি!


কি আশ্চর্য, তাই না?


আর্যতীর্থ