। কবিতা নয়।


নিতিন কুমারের বাবা বেরিয়ে ছিলেন আনতে ওষুধ
আকবরি কোথাও যাননি, ছিলেন পিতৃপুরুষের ঘরে,
তফাত হয়নি কিছু, দাঙ্গা উসুল করে আসল ও সুদ,
লাশদুটো পাঠিয়েছে পরম যত্ন করে  শ্মশানে কবরে।


অঙ্কিত শর্মা রাস্তায় ছিলেন নিজস্ব কিছু কাজে,
মেহতাব গিয়েছিলো দুধ আনতে, যেমন যায় রোজ
আপনজনের কাছে ওদের আর ফেরা হলো না যে,
লাশকাটা ঘরে গিয়ে দুজনের পাওয়া গেলো অবশেষে খোঁজ।


কাজ থেকে  ফিরছিলো ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী আসফাক
জাকির ফিরছিলো ঈশ্বরের কাছ থেকে নমাজ সেরে
রতনলালের বৌ বলেছিলো আজ কাজে যাওয়া থাক
তিনখানা নাম গেছে রায়টের শিকারের তালিকাতে বেড়ে।


ওপরের বারো লাইন কবিতা মোটেই নয়, হওয়া অসম্ভব
অজুহাত শুধু ওটা অতি বাস্তব এক তথ্য বোঝাতে
বাদী বা প্রতিবাদী মিছিলে ছিলো না ওই সবে হওয়া শব,
তোমার আমার মতো যাপন আরামে ছিলো স্বজনের সাথে।


নিতিনের বাবা অনায়াসে হতে পারতো পাড়ার সুভাষজ্যেঠু
আকবরি দুটো বাড়ি পরে থাকা স্নেহময়ী খালা বা কাকি
রতন জাকির অঙ্কিত ছোটো থেকে দেখা টুটু আলি মিঠু
তুমি আমি যাদেরকে সহপাঠী, বন্ধু বা ভাই বলে ডাকি।


কারা মারলো ওদের? খুনী কারা তবে? দেখি আয়নাতে
লাশের ওপর বসে তুমি আমি হাসি বুনো হিংস্র আদিম
আমরা করেছি খুন আমাদের নেতা ও ঈশ্বর সামলাতে
শব-শেষে ঘরে ফিরে প্রসাদে পেয়েছি খালি অশ্বের ডিম।


ধর্মের কিছু নয়, নেতাদের পোয়াবারো, ক্ষতি শুধু আমাদের ভাগে,
বিভেদের ছুতো দিয়ে চৌকাঠ লাল হয়  আমাদেরই রক্তের দাগে।


আর্যতীর্থ