।লড়াই।


একটা অসম লড়াই শুরু হয়েছে জীবনের লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।
আমার বৃদ্ধা মায়ের শরীরে মৃত্যু ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে,
কখনো ফুসফুসের উদ্দেশ্য ছুটে আসছে চোরাগোপ্তা বুলেটের ঝাঁক ,
কখনো কিডনি দখল নেবার কূটনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
আমাদের অস্ত্রগুলো নেহাতই সেকেলে, নানান যুদ্ধে তাদের ব্যর্থতা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত,
তবু মাতৃভূমি রক্ষার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাচ্ছি প্রাণপণ।
কদিন আগেই একঝাঁক এফ সিক্সটিন মায়ের মগজ জুড়ে কার্পেট বোম্বিং করার চেষ্টা করলো,
আমার লজঝড়ে মিগ একুশ কোনোক্রমে পরিস্থিতি সামাল দিলেও,
আমি নিশ্চিত, আগামীর ওপারে ওরা ওত পেতে রয়েছে।
ক্রমশ ধ্বংস হওয়া কাঁটাতারের কাছাকাছি, আমি যখন সেকেলে গাদাবন্দুকগুলোয় হতাশ বারুদ ঠুসছি,
ঠিক তখনই দখিনা বাতাসের মতো মৃদুস্বরে  মা আমার বলে উঠলো,
‘ শরীরটা আমি নাকি রে?
তুই না ভুলতে চাইলে ওই অলপ্পেয়েটার ক্ষমতা আছে আমায় দখল করার?’


চারদিক থেকে গুলি, তবু যুদ্ধের ট্রেঞ্চে আমি আজ শান্তিতে ঘুম যেতে পারি..


আর্যতীর্থ