। মানে।


শিশুর জন্মক্ষণ ছিলো মাঝরাত,
প্রহর আলাদা হলে হতোনা তফাত
গর্ভধারণ থেকে অযাচিত ভ্রুণ,
বহুবার চেষ্টাতে হয়নি সে খুন।
জরায়ুতে বেড়েছে সে শত্রুর মতো
জানাজানি হলে হবে সামাজিক ক্ষত।
ভাগ্যিস এসেছে সে রাতের আঁধারে
আলোর অভাবে বড় সুবিধা পাচারে
খুব বেশি দূরে নয়, কাছে ডাস্টবিন
ফুরোয় না পৃথিবীতে কর্ণের ঋণ।
নাড়ি ছেঁড়া ধন নয় সব বাচ্চাই
কেউ কেউ জন্মেই জননী-বালাই।
ওই শোনো অস্ফুটে শিশু কেঁদে চলে,
দিন হলে শুনবে কি কেউ কোলাহলে?
গল্পের এইখানে দিয়ে ধিক ধিক,
পাঠক উঠবে বলে ঘোর পাশবিক!


ডাস্টবিন পাশে থাকে ছানা সহ নেড়ি
এইখান থেকে শুরু গল্পটা তারই।
মানুষের ছানাটার শব্দতে জেগে,
ল্যাজ নেড়ে খোঁজ করে মহা উদ্বেগে
ডাস্টবিন শুঁকে শুঁকে তার খোঁজ পেয়ে
মা কুকুর তাকে চাটে, যায় ওম দিয়ে।
কে জানে সেই শিশু কি পেলো তাতে
খুদে খুদে চোখ বুজে গেলো সে ঘুমাতে
ভোর হতে মা কুকুর করে ভৌ ভৌ
‘হনহন হাঁটো যারা দেখো এসে কেউ’
কিছু লোক উঁকি মেরে দেখে ডাস্টবিন
শিশুর কান্না যেন কানে আসে ক্ষীণ
তারপরে ঠিক দিকে এগোয় ঘটনা
মিডিয়ার কল্যাণে পাঠকেরও জানা
ব্রেকিং নিউজে চোখে জল চিকচিক
মুগ্ধ জনতা বলে ‘ কত মানবিক!’


অভিধান মানেদুটো বোঝায়নি ঠিক..


আর্যতীর্থ