। মনুর ভারত।


হ’না রে মেয়ে অম্বিকা বা অম্বালিকার মতো।
পছন্দ দে জলাঞ্জলি, নিজস্বতার চড়ুক বলি,
পুরুষই তোর বর বেছে দিক, চাইবি রে আর কত?
অনিচ্ছাতেই হোক না বিয়ে,এই দেশে আর নতুন কি এ,
মাথার ওপর ছাদ ও খাওয়া পেলি তো অন্তত!


বর যদি যায় খারাপ পথে, তুলিস না রে গলা।
পুরুষরা হয় একটু অমন, রমণ-খোঁজে মন উচাটন,
আদর্শ হোক দুর্যোধনের ভগিনী দুঃশলা।
দ্রৌপদীরা বাঁচে না আর, এফ আই আরের চেষ্টা বেকার,
শান্ত মনে নিস মেনে সব, ঝগড়াতে কাঁচকলা।


বাচ্চা মানুষ করবি যেন কুন্তী বা গান্ধারী।
কষ্টভাগের মন্দ কপাল,ভালো সময় থাকবি আড়াল,
মোটের ওপর , চুপ করে তুই থাকবি ছেলের বাড়ি।
পুত্র যেমন ইচ্ছে করে, মত দিবিনা তার ওপরে,
বন্য যেমন বনেই ভালো, তেমনি ঘরে নারী।


শ্লীলতাতে হাত দিলে কেউ, হোস না মুখর যেন।
লাজ হারাবার বিষম ভয়ে, কাঁদিস কাটিস অনুনয়ে,
পুরুষ আছে, শোধ নেবে ঠিক, চিন্তা করিস কেন?
যতই বাড়ুক দুঃশাসনে,   পাঞ্চালীকে রাখিস মনে,
বন্ধ রাখিস থানায় গিয়ে কাঁদুনে প্যানপ্যানও।


নারী মানে ফুলের নরম, চাঁদের মিঠে জ্যোৎস্না।
তেমন করেই থাকিস ঘরে, কাড়বিনা রা সাতটা চড়ে,
আর যাই হোক, স্পষ্টবাদী অম্বা যেন হোসনা।
নিজের লড়াই লড়বে নিজে, নিজেকে মেয়ে ভাবে কি যে,
শিখণ্ডী যে ব্যাস বানালেন, আর কারো তা দোষ না।


মেয়েরা এসব শুনছে যখন, বিড়বিড়ালো কবি।
দেশটা সেদিন বাঁচবে যেদিন অম্বা সবাই হবি।


আর্যতীর্থ