। মাশুল।


ন-রঙ বলে সবাই গ-রঙ, ভাঙচুরে যারা মাতছে,
সাবধান সব, ওই ব্যাটারাই ভেদ করা ফাঁদ পাতছে!
গ-রঙও হাঁকে,  ন্যাকামি করছে দেখোনা কেমন ন-রঙ,
আগুন লাগায় ওদের ছেলেরা, তবুও চালায় ভড়ং।
ল-বর্ণ করে কর্ণকে খাড়া ভেঙিয়ে বলেন শুনছো,
গ আর ন মিলেমিশে করে বৃত্তি ওসব উঞ্ছ।


সাদায়কালোয় ঘামের গল্প লিখছেন যারা রাতদিন
মনে মনে কন রঙমালিকেরা, বাতেলা বরং বাদ দিন।
ট্যাক্সো তো দেবে সাধারণ লোক, ভস্মে ঢালবে ঘি,
সরকারি ক্ষতি রাজনীতি রঙ আজ অবধি ভরে কি?
যারাই ভাঙছে, মারছে ধরছে, গ্রেপ্তার হয় কই?
কিভাবে জানবে কি সুতোর টানে ওরা করে তাতা থৈ?
ভিডিও রয়েছে, আহা রে পুলিশ তবু হাতড়িয়ে খোঁজে,
‘ সিংহম’ হলে ভাগ্যে কি আছে ঊর্দিরা সেটা বোঝে।
তার চেয়ে বাপু হাতসুখ করো ছাত্র টাত্র পিটিয়ে
বহিষ্কারের হুমকি দেখালে এমনিতে যাবে সিঁটিয়ে।


ন-রঙ বলবে ঘটনাটি ছোটো, গ’য়ের নজর পোশাকে
ল-বর্ণ আজ নখদাঁতহীন , উস্কিয়ে মরে গোঁসাকে।
দাঙ্গাবাজের ভাঙচুরে মাতা, এদেরই কারোর জোর সে,
ভূতের দাওয়াই কে দেবে ভাই ভৌতিক হলে সর্ষে?
সকলে ভাবেন জনতাকে নিয়ে, ধিক্কার দেন ধ্বংসে,
ক্ষতিপূরণের দায় তবু থাকে সেই জনতার অংশে।
ভাঙচুরে যারা, যাবেইনা না জানা ভক্ত কি রঙ দেবতার,
ওদের কে ছেড়ে বরং পুলিশ করবে ছাত্র গ্রেপ্তার।


লুঙ্গি ল্যাঙট যা কিছু ভাঙবে আমরা মাশুল দেবো তার।


আর্যতীর্থ