। মসজিদ মন্দির।


বাড়ছে দূষণ তুরগলাফে, গাছের পাতায় কালচে ছোপ,
ফুসফুসে আজ কষ্ট ভীষণ, কাঁকড়া বাড়ায় তার প্রকোপ।
তেষ্টা পেলে ভয় করে খুব, জল থেকে কি ধরবে রোগ,
সিসে পারদ তরকারিতে, মাংস মানেই ভাগাড়ভোগ।
এমন কেন জন্মভূমি, সওয়াল সাজুক মন ঘিরে...


ওসব ছাড়ো , লড়বো চলো মসজিদে আর মন্দিরে।


পেঁয়াজ বেঁচে পাচ্ছে চাষী ,কিলো প্রতি এক টাকা,
অন্নদাতার ভাগ্য জুড়ে, বিষ রয়েছে দ্যাখ রাখা।
শিক্ষিতদের ভাত জোটেনা, ধুঁকছে ঘরে পি এইচ ডি,
ডোম চাইলেও দৌড়ে বলে, চাকরি দেবেন কি একটি?
কেমন করে শোধরাবে সব, হিসেব সে সব কষছি যে..


হিসেব থামাও, যুদ্ধ বাঁধাও মন্দিরে আর মসজিদে।


ব্যাঙ্ক দিয়েছে কর্জ কাদের, মুখ পুঁছে দেয় বেশ ঝেড়ে
হাপিস করে হাজার কোটি, পালায় কারা দেশ ছেড়ে।
জনগণের ট্যাঁক ভাঙিয়ে , চলছে নেতার হরির লুট,
চিটফান্ডের সর্বহারার , সিলিং ফ্যানে দড়ির খুঁট।
ধরতে হবে শক্ত হাতে দেশকে কে লোটার ফন্দী রে,


ধ্যাত্তেরিকা! নজর ঘোরাও মসজিদে আর মন্দিরে।


দেশের ঘরে যখন আকাল, নেতার গোলায় ধান কেন,
নির্বাচনে যিনিই জেতেন, উল্টোসুরে গান কেন?
গণতন্ত্রের ঘুম কেড়ে নেয়  ,জুলুমবাজ আর  মাস্তানেই,
ভোটের সময় আমজনতার, বুথে যাবার রাস্তা নেই।
ফিরবে কবে ভোট অধিকার, সব কুঁড়েঘর বস্তিতে?


ভোট কি হবে? ভোটার মাতুক মন্দিরে আর মসজিদে।


আসবে কি আর আলোর রেখা দেশের লোকের মন চিরে?
আর কতদিন সময় দেবো মসজিদে আর মন্দিরে?


আর্যতীর্থ