। মূর্তি।


মন্দির মসজিদে রোজ ঘষা মামলায়
কি ভাবে যে এই দেশ ইউনিটি সামলায়!
শত শত ইউনিটে জাত নিয়ে দ্বন্দ্বে
ইউনিটি কই গেলো, বড় আছি ধন্দে।


বিভাজনী বিষগাছ মেলে তার পল্লব
মোটে খুশি হতেন না হাল দেখে বল্লভ।
রোজ কিছু সৈনিক গিলে খায় বর্ডার,
সুরাহা মেলেনি কেন শুধোতেন সর্দার।


পুকুরের জল কম , ডোবেই না ঘটি যে,
তবুও খরচা হলো তিন হাজার কোটি হে।
ইতিহাসপাতা যদি স্মৃতি থেকে টানো ফের
অপচয়ে আপত্তি ছিলো লোহামানবের।


ভারতের বিসমার্ক সবচেয়ে উঁচুতে
মন তবু কেন যেন হয়ে ওঠে কুচুটে।
নেহরু ও প্যাটেলকে করে দিলে দলীয়,
কোনভাবে ইউনিটি তবে বলো বলি ও।


সবচেয়ে আগে নামে বেড়ে চলে লিস্টি,
প্রদূষণে প্রাণহানি,  শিশুর অপুষ্টি।
ধর্ষণ, দুর্নীতি আর খিদে সূচকে,
দুনিয়া গিয়েছে জেনে সবচেয়ে উঁচু কে।


ইউনিটি কথাটাও মশকরা করে যে,
দেশবাসী আজও নানা দাঙ্গায় মরে যে।
গুজরাট থেকে লোক ভয়ে ফেরে বিহারে,
আসামে বাঙালী জানে চাপ বাড়ে কি হারে।


সব ভুলে অন্তত বড়াই তো করবো,
আয়রনম্যান নামে জাগে মনে গর্ব।
আরেকটা নাম মনে রয়েছে কি রাজাদের,
মূর্তি তেমন নেই মৌলানা আজাদের।


আর্যতীর্থ