।নামকরন।


দুঃখ, তোমাকে আজ থেকে আমি ডাকবো ‘আসন্ন সুখ’ বলে
কে না জানে চক্রবৎ পরিবর্তন্তে ইত্যাদি কথা।
না জানো যদি, সেটা গর্হিত, ধর্মগ্রন্থ পড়া হয়নি তাহলে,
কদিন বাদেই জেনো অ-জামিন অপরাধ বলে গণ্য হবে তা।


নীরবতা, তোমার নাম পাল্টে আমি করে দিলাম ‘বেঁচে থাকা’
বেচাল বাচাল হলে পেয়াদা লাগতে পরে এখন পিছনে,
সমাপ্তি করুণ হবে।কল্পনা, আজ থেকে শুরু তোমায়  ‘ইতিহাস’ বলে ডাকা,
বাস্তব জরুরী নয় অতীতস্মরণে।


খিদে, তোমার নাম এখন থেকে ‘অপপ্রচার’ হলো অভিধানে
বেকারত্ব কথাটা আর ব্যবহার হবে না, তার বদলে চালু হলো ‘পাগুলে প্রলাপ’,
বিরোধিতা’র এখন থেকে ‘বিদ্রোহ’ হবে মানে,
শিক্ষা’র মানে পাল্টে দিয়ে করলাম ‘সভ্যতার অভিশাপ’।


অন্ধভক্তি এখন থেকে ‘জনমত’ বলে প্রচারিত হবে, কেননা জনতা অন্ধ হওয়া ভালো।
নিঃশর্ত আনুগত্যকে ‘গণতন্ত্র’ বলে ডাকা হোক ।
যুদ্ধের সমর্থনকে ‘দেশপ্রেম’ বলে ডাকার আছে যুক্তি জোরালো, তাই হোক তবে।
খটমট শুনতে হলেও, বুদ্ধিজীবি বদলে করলাম ‘ক্রীড়নক’।


আত্মঘাতী কৃষকদের এখন থেকে ডাকা হবে ‘বোঝবার ভুল’
কারখানা লকআউট আর কেউ বলবেনা, নাম দিয়ে দিয়েছি ‘উন্নয়নের সোপান’
ভোটাধিকারের নতুন নাম হলো ‘এপ্রিল ফুল’,
আর আমার অধীনে থাকা দলটির নাম দিলাম
‘লক্ষ্মীবাবু কা আসলি সোনে চাঁদি কি দুকান’।


অনেক নামকরন বাকি রয়ে গেছে, ক্রমে সব পাল্টানো হবে,
দেশ, নাগরিক, ধর্ম ও জি ডি পি , সব বদলাবো পর পর,
একটু ধৈর্য্য রাখুন । এই তো আজকেই ঘুম থেকে উঠে সবে,
ডিটেনশন সেন্টারের নাম করে দিলাম ‘ চিড়িয়াঘর।’


আমার নামটাও বদলে ফেলেছি, এখন থেকে আমি হবো ‘ঈশ্বর’।


আর্যতীর্থ