। নেতা।


কি এমন হাতিঘোড়া তোমার কাছে চেয়েছি, গণতন্ত্র?
নেতা যিনি হবেন, মাটি আর ঘামের বীজমন্ত্র তাঁর আয়ত্ত্বে থাকবে, এইটুকু বৈ তো না?
কই শোনা যায় সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে সেই আলাদা আওয়াজ,
পাখোয়াজ তালে তালে যে রাধা চলেছে নেচে,
তার সাতমন তেল আমাদেরই পিষে,
নেতা যদি আমাদের লোক নন, গণতন্ত্র তবে আর হয় কিসে?


  যুদ্ধবিমানের  চাইতে যিনি
আড়াইশো কুমড়ো আর তিনশো ঢ্যাঁড়সের দামের বেশি খোঁজ রাখেন,
ডিমে আটআনা বাড়লে  রাজস্ব কমাবার কথা ভাবেন,
বাড়ন্ত খিদে সূচকে মাঝরাতে যিনি ঘুম চটকে আঁতকে ওঠেন, তেমন চেতনা’র অধিকারীকে কি  
ভালো করে খুঁজলে পাওয়া যেতো না?


    সাড়ে তিনহাত মানুষগুলোকে আকাশ থেকে যিনি
পিঁপড়ের মতো দেখবেন না,
তাবত চাষীর দেনা কলঙ্ক মনে করে প্রাণপণ তা মোচনে উদ্যোগী হবেন ,
তেমন মানুষ চাই।
কবে দেবে তাঁকে, প্রিয় গণতন্ত্র আমার?
যুদ্ধের ব্যাকরণ জানা,
অথচ কি কারণ কারখানা ঝাপ ফেলে দেয় না জানলে, পুরোভাগে সেনাপতি তবে , নেতা নন।


   এমন এক নারী বা পুরুষ চাই,
যিনি মানুষ দেখেন, ভোটার নয়।
দেশকে যিনি ঈশ্বরের আগে রাখবেন ,
ন্যায়কে ধর্মের ওপরে,
তেমন একটা মানুষ তুমি কেন দিতে পারো না!


    ওই প্রাসাদের গবাক্ষ থেকে মসৃণ হাত নাড়া কোটিপতি আর কোটা-পতিদের রাজত্বে,
তুমিও কি চাষীর মতই ফলিডল খুঁজছো, প্রিয়তম গণতন্ত্র?


নাম ছাড়া তোমার তো আর কিছুই হারানোর নেই..


আর্যতীর্থ