। নিজের জন্য।


তুমি ভাবো তোমার জন্য সব লিখেছেন তিনি?
যে উৎস থেকে বয় অমৃতস্রোত,যাঁর শব্দের স্নানে  নিজেকেই চিনি,
তুমি কি ভেবেছো নাকি এই আদিগন্ত কবিতার সারি,
কবির মননে ছিলো ভাবনা তোমারই,
কখনো পরবে তুমি ভেবেই কথাতে জীবন বুনে গেঁথেছেন হার,
তোমাকে বিলাবে  বলে সময় জমিয়ে রাখে তাঁর সম্ভার,
ভেবো না কখনো। জেনো, নিজেরই জন্য সেই সুধা প্রবাহিনী,
উত্তরণের পথে কবিতার কাছে কবি চিরকাল ঋণী।


আজকের দিনটাতে নিজের হাতেই নিজে রাখি বাঁধা হোক।
প্রিয় মানুষের খোঁজে দিন তোলপাড় করো, তুমি তো নিজেই সেই প্রিয়তম লোক।
কটা দিন কাটাতে তো এসেছো এখানে,
এর আগে আর পরে কে আর জানে,
তোমার জীবন জেনো আর কারো নয়,
সুখ শোক বিষাদ বা আশ্লেষ যত জমা হয়,
তুমিই স্রষ্টা তার, তুমিই বাহক,
বাইরে তাকাবে পরে, প্রথমে নিজেকে জানো, আত্মসাধক।


পঁচিশে বৈশাখ শুধু স্তুতিগানে কবিতায় অঞ্জলি দেবে তার পা’য়?
কবিতা মন্ত্র করো, রবির পড়ুক আলো নিজস্ব আধারের গা’য়।
ভেবে নাও, রবি নন, এ কথা তোমারই
ভাবো, আর জ্বেলে দাও অগণিত মশালের সারি,
যে আলোয় দেখা যাবে ভয়হীন আগামীর পথ,
যেখানে ‘একলা চলো’ নিজস্ব সুরে ভাঙে কোরাসের গৎ,
মাস্তুল ভাঙা হোক, একাকী নাবিক হয়ে হাল ধোরো না’য়,
রবীন্দ্রনাথের মতো গর্জে উঠুক স্বর দেখে অন্যায়।


শুধুই ভক্তিপাঠে কবিপুজো হলে কার কি আসে যায়!


আর্যতীর্থ