। নির্দোষ।


ওই লোকটাকে সবাই মিলে ধরো।
ও ছোটোবেলা থেকে কোনো দোষ করেনি।
ইস্কুলে ফেল করেছে, তবু টোকে নি।
প্রেমে ঝাড় খেয়ে মেয়েটার নামে আজেবাজে কথা লেখে নি।
বারোয়ারি বাজার করে মওকায় পয়সা ঝাড়েনি ও,
তার ওপরে ভিখিরি বাচ্চাটাকে পয়সা দিয়েছে।
ভিড় বাসে উঠে ও বিশেষ অঙ্গটিকে ঘষেনি কোথাও,
বরঞ্চ শরীরী আড়াল দিয়ে বাঁচিয়েছে কিছু সম্ভ্রম।
ও এখনো মা বাবা তুলে গালাগালি দিতে শেখেনি,
ওকে কেউ দিলে সেটা হজমও করেনা।
ওই লোকটাকে ধরো, ও কখনো ঠকাতে বলেনি ‘ভালোবাসি’।


ওকে পাকড়াও করো, ওই লোকটাকে কেউ পালাতে দিওনা।
ও এখনো বুড়ো বাবা মা কে দেখে,
দিনান্তে বাড়ি ফিরে সংসার করে কিছু প্রেম, কিছু গঞ্জনা নিয়ে।
ও আজও ঘুষহীন ঘাম মেখে কাজ করে কোনো,
বাড়ি ফিরে মেয়েকে জিগেস করে পড়া কদ্দুর হলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।
লোকটা মোবাইল বন্ধ রাখে বাড়ি ফিরে গিয়ে,
নেশা করে বাড়ি ফেরে না।
হতভাগা বউ আর বাচ্চাকে নিয়ে রবিবারে সিনেমায় যায়,
বন্ধু ও বান্ধব নিয়ে আজও হো হো আড্ডায় মাতে চায়ের পেয়ালা নিয়ে।
ওই লোকটাকে চলো সব্বাই মিলে কষে বেঁধে নিয়ে আসি।


লোকটাকে পালাতে দিও না। ও কখনো রঙেদের মিছিলে হাঁটেনি,
অথচ প্রতিটা খুন, প্রতি ধর্ষণে ওর ঘুম ভেঙে যায়।
ধর্মকে ও কখনো মাথায় তোলেনি, কিন্তু বিবেককে বুকে পুষে রাখে।
বাড়ন্ত মূল্যতে বাড়ন্ত চাল ঘরে, তবুও লোকটা কোনো পতাকা ধরে নি।
যেদিকে যা ক্ষয় দেখো, ওর তাতে একটুকু ভূমিকাও নেই।
সকলের ভালো করে জেনে রাখা ভালো, ওই নাগরিক নয় কোনো দোষে দোষী।


সেই অপরাধে চলো নির্বাসন দিই ওকে, কিংবা জনমত পেলে... ফাঁসি।


আর্যতীর্থ