। ঐশ্বরিক।


ঈশ্বর ভাবলেন একদিন লুঙ্গি পরবেন ।
মানুষ বললো ছিঃ। ওভাবে উপাসনালয়ে ঢোকা যায় না।
যান ভালো পোশাক পরে আসুন।
ঈশ্বর খুব রঙিন বারমুডা পরে এলেন।
মানুষ বললো এ আবার কি!
ধর্ম নিয়ে ইয়ার্কি করছেন?
ঈশ্বর বললেন আমার চেয়ে স্বচ্ছ কেউ নেই,
যে দেখতে চায় সে সব দেখতে পাবে।
আমার চেয়ে বহুরূপীও কেউ নয়,
তোমার ধর্মেও তো তাই বলা আছে।
মানুষ বললো, ছাড়ুন তো ওসব গল্প,
এই নিন পোশাকের লিস্টি।
এসব পরতে পারলে ঢুকবেন, নয়তো কেটে পড়ুন দেখি।


ঈশ্বর ভাবলেন এবার নারী হবেন।
মানুষ বললো, স্রাবের তারিখ বলুন।
ঈশ্বর বললেন কেন?
মানুষ খেঁকিয়ে উঠলো, এটাও জানেন না?
ওই দিনগুলো আপনি অপবিত্র।
ঈশ্বর বললেন, আমার চেয়ে পবিত্রতর কিছু নেই,
প্রতি রজঃতে আমি ভাবীকালের জাতকের ভরসাস্বরূপ বিরাজমান।
মানুষ বললো জ্ঞান দেবেন না।
এমনিতে ওটা শরীর খারাপ বলা হয় না।
পৃথিবী রসাতলে দেবেন না কি?


ঈশ্বরের ইচ্ছা হলো, সংখ্যালঘু হবেন।
তিনি পুজো করতে গেলেন,
তাঁর প্রতিমা মানুষ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো।
তিনি নমাজ পড়তে গেলেন,
মানুষ হ্যাট হ্যাট করে তাঁকে তাড়িয়ে দিলো।
তিনি ক্রুশের সামনে বসলেন,
মানুষ চার্চে আগুন লাগিয়ে দিলো।
ঈশ্বর বললেন, তোমার তো আমি কোনো  ক্ষতি করিনি।
মানুষ চোখ রাঙিয়ে বললো,
করতে কতক্ষণ! আপনি তো আর আমার মতন না।


ঈশ্বর বললেন হিন্দু । মানুষ বললো পাকিস্তান।
ঈশ্বর বললেন ইসলাম। মানুষ বললো জিন জিয়াং।
ঈশ্বর বললেন খ্রীস্টান । মানুষ বললো সিরিয়া।
ঈশ্বর বললেন বৌদ্ধ। মানুষ বললো বামিয়ান।
ঈশ্বর বললেন ইহুদী। মানুষ বললো অসউৎজ।


ঈশ্বর হতাশ হলেন।
আহত স্বরে মানুষকে জিজ্ঞেস করলেন তবে তুমি চাও কী?


মানুষ মাথায় হাত ঠেকালো,
নমাজ পড়লো,
বুকে ঝোলা ক্রুশ ছুঁলো,
আরো কত কী করলো।


তারপর বললো,
আমায় জিজ্ঞেস করছেন কেন? সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা।


আর্যতীর্থ