। পান্ডু।


আমার যে পাঁচ পরিচয় পৃথিবীর কাছে,
বস্তুত আমি তাদের কারো জন্মদাতা নই।
জনক অন্য কেউ, তারা সব অদৃশ্য অস্তিত্ব
তবুও তাদের দায় অসহায় আজীবন বই।


আমি যে পুরুষ ক্লীব কিংবা রমণী
এ ব্যাপারে মতামত ছিলো না আমার,
এক্স আর ওয়াইয়ের পাশাদান চেলে
প্রকৃতি দিয়েছেন সেই দায়ভার।


এই মুখ, চোখ নাক ইত্যাদি দেখে
সুন্দর কুৎসিৎ বলে যত মতামত আসে,
ছেচল্লিশটা জিনে স্থাপন হয়েছে তা জন্মেরও আগে
এ আমি ক্ষমতাহীন রূপের প্রকাশে।


হিন্দু ইসলামি খ্রীস্টান পারসি বা শিখ,
কোন ঘরে জন্মাবো আমার তা ঠিক করা নয়,
অথচ দেখেছো ভেবে কিরকম লেপ্টিয়ে গায়ে
আমৃত্যু থেকে যায় সেই পরিচয়?


সৈয়দ, আচার্য, সোরেন বা মুচি
সামাজিক সাপলুডো খেলা চলে যে পদবী মেনে
এসে গেছে নিজে নিজে বংশের নামে
অথচ সেসব দিয়ে সবলোকে চেনে।


আমার জন্মভূমি আমি তো বাছিনি
ভাগ্য দিয়েছে বেঁধে যাবতীয় নাগরিক সীমা,
নোঙর রয়েছে গাঁথা আজন্মকাল,
যতই চষুক আয়ু পৃথিবীর অক্ষ দ্রাঘিমা।


আমার অংশ যারা আজীবন থাকে
পাঁচজন তার মাঝে নয় যে স্বজাত,
তবুও তারাই বয় নাম পরিচয়,
শত চেষ্টাতে তাকে মোছা যায় নাতো।


বেঁচে চলি অসহায় পান্ডু’র মতো..


আর্যতীর্থ