। প্রজাদের লোক।


  ( লাল হেরিংয়ের শোল.. shoal of red herring)


নির্মোকহীন উলঙ্গ কিছু শব্দ নিয়েছি হাতে,
ঢাকাচাপা দেওয়া কথারা মরুক এইবার কবিতাতে।
বিদ্রোহ আগে লেখনিতে আসে, পরে মানুষের মাঝে,
ফুল চাঁদ প্রেম পরকীয়া থেকে সে আওয়াজ আসেনা যে।


নিগুঢ় বাক্যে কথারা গাঁথুক নয়া প্রতিবাদগাথা,
অন্ধকারের যেন ভয় লাগে দেখে কবিতার খাতা।
সিংহাসনের দোষ যদি থাকে পায়া হোক টলোমলো,
ক্ষোভের বারুদে আগুন ধরাতে  সলতে পাকাই চলো।


কে তুমি গোপন প্রেমের গোঙানি লেখো কবিতার ভানে?
শব্দ  নতুন ছায়াপথ খোঁজে কালপুরুষের গানে।
সেই সুর যাতে শুনতে না পাও, ব্যবস্থা তার পাকা,
সহজপাচ্য কথাতে তাবত শিরোপা ইনাম রাখা।


তোমার কলম তুলি তো বটেই, তবে ওটা হাতিয়ারও,
এখন দেখার জ্যা টেনে নিয়ে কোন লক্ষ্যতে ছাড়ো।
খলবল করে এদিকে ওদিকে লাল হেরিংয়ের শোল,
যুগের আঁধার বুঝতে দেয়না কোথায় গন্ডগোল।


ঢাকাচাপাহীন নগ্ন শব্দ আয়ুধ তোমার হোক,
প্রমাণ দাও যে দলদাস নয়, কবি প্রজাদের লোক।


আর্যতীর্থ