। পূত।


ঋতুর সময়কালে নারীর শরীর ছুঁয়ে ঈশ্বর পবিত্র হন।
সৃজনের প্রারম্ভে  স্থিতির গোপনকথা গচ্ছিত রেখে গিয়েছেন তিনি নারীর কাছেই।
বুড়ো হয়েছেন, তাই মন্ত্রগুপ্তিগুলো মাঝে মাঝে ঝালাতেও লাগে।
ঋতুমতী হলে নারী সৃষ্টির আদিকথা শরীরে ফেরায়, তার চেয়ে পূত কিছু এজগতে নেই।


চারদিকে লয় শুধু, যুযুধান ধর্মেরা একে ওকে কাটে, রোজ কিছু ধার্মিক লাশ জড়ো হয়।
সৃষ্টিকারের গায়ে সেই রক্তের ছিটে এসে লাগে, অঞ্জলি ভ্রমে তিনি পান ধ্বংসকে।
এত হত্যা দেখে চারদিকে, বৃদ্ধ ঈশ্বরের মাঝে মনে হতে থাকে,
‘তাহলে কি প্রলয়ের সময় ভুলেছি?’
তখনি খোঁজেন তিনি ঋতুর রমণী, তাকে ছুঁয়ে বুঝে যান, কিছু আশা বেঁচে আছে আজও মরলোকে।


ফেরেস্তা দেবদূত অবতার পয়গম্বর যা খুশি বলো, নারী ঋতুমতী হলে তবে আসে তারা।
সৃষ্টি ও স্থিতিকে একা ঈশ্বর সামলান কি করে আর, প্রলয়ের মতো তারা অনায়াস নয়।
তাই নারীর ওপর ভার দিয়েছেন তিনি, ধ্বংসাবশেষ থেকে পুনরুত্থান করে সৃষ্টি বাঁচাতে।
এই প্রবল বিনাশকালে, নিজেকেই সেকথা স্মরণ করাতে, নারী ছোঁন ঈশ্বর ঋতুর সময়।


ধর্মের সমবেত ‘ ঋতু ঋতু’ আতংকে, ঈশ্বরও পান আজ প্রলয়ের ভয়...


আর্যতীর্থ