।রাধা না রুক্মিণী।


সখী..
এ নামে তো পৃথিবীতে ডাকে একটা লোকই।
বাকি সবাই যে নাম জানে প্রকাশ্যে তাই ডাকি,
একান্তে যে সখা বলো, ভুললে চলবে নাকি?


সখা..
প্রজন্মকে জানিয়ে দিলে বলবে ন্যাকা ন্যাকা।
কিন্তু আমিই জানি,
ও নামটাতেই আমায় খোঁজে আমার রাধারাণী।


রাধা..
রাইকিশোরী ও রুক্মিণী, ভাগ যে আধা আধা।
সিঁথির সিঁদুর আমার নামে, অভিমানও তাই,
আনগোপীদের সন্দেহে যে আজও গালি খাই।


গালি..
খুব তাতে নয় বিচলিত তোমার বনমালী।
যদিও বেজার মুখ,
মনের মাঝে দখিন হাওয়ায় দখল হওয়ার সুখ।


দখল..
ঝগড়া হলে চারটে চোখে টলটলানো জল।
সরল সত্য জানেন তাবত পদাবলীকার
চুমুর থেকে প্রেমের বন্ধু বেশি প্রবল ঝাড়।


প্রেম..
এ সুখ যে কি সর্বনাশা রাধা তা জানতেন।
যুগ দ্বাপরের কবেই সে তো পেরিয়ে গেছি, প্রিয়ে
তবে কেন চলতে যাবো সেই একই পথ দিয়ে?


পথ..
বর্তমানের দুচোখ দিয়ে দেখছি ভবিষ্যৎ।
আমার সাথে কে হেঁটে যায়, রাধা না রুক্মিণী?


কি আসে যায়, দুটো নামে এক সখীকেই চিনি...


আর্যতীর্থ