। রূপকথা।


রূপকথারা ফি পাঁচবছর স্বপ্ন হয়ে কাছে আসে,
ঘোর লেগে যায় মানুষজনের নেই-ফুলেদের সেই সুবাসে।
ভাসতে যদি চাও কোনোদিন প্রতিশ্রুতির বন্যাতোড়ে,
মাইকগুলো বলছে যা সব শুনতে যেও পাড়ার মোড়ে।


ভেক ধরেছেন তাবত বেড়াল মাছ কোনোদিন ছুঁইনা বলে,
সবাই নাকি কাজ করে যান দেশের আমূল ভোলবদলে।
অস্বীকারের উপায় তো নেই দেশের বদল হচ্ছে ঠিকই
যেদিকে চাই নিভছে আলো চক্ষে শুধুই আঁধার দেখি।


ভোট পাওয়া যায় মাংসভাতে, লোলুপ হাতে পাঁইট দিয়ে,
পোষ্য কোনো ক্যামেরাকে উলটপুরাণ বাইট দিয়ে।
লোকাল ক্লাবে লগ্নী করে লাভ যদি দেয় ব্যালেন্সশীটে
খেয়াল তবে নিষ্প্রয়োজন কোথায় জ্বলে চাষীর ভিটে।


ভোটের আগে আলিবাবা খোলেন গুহা চিচিং ফাঁকে,
আলাদিনের জ্বীন যেন সে, ঘষতে বাকি প্রদীপটাকে।
ভোটের পরে জনগণের অবস্থা সেই কাসেম মাফিক,
চিচিং ভুলে চিঁ চিঁ করে, চোরসর্দার প্রাণের মালিক।


প্রশ্ন করা বারণ এখন, সেটাই নিয়ম চতুর্দিকে,
পাখি পড়ান যেমন নেতা, বলতে হবে সেটাই শিখে।
অন্য কিছু বলতে গেলেই কু ডেকে দেয় ব্যাঙ্গমাতে,
বিরুদ্ধ-স্রোত চলতে চাওয়ার ফল এসে যায় হাতেনাতে।


নটেগাছটির খবরটা কেউ রাখেনা এই রূপকথাতে।


আর্যতীর্থ