। সামান্য ঘটনা।


অ্যকোয়ারিয়ামের জলটা সকাল থেকে ঘোলা,
মাছগুলো খাবি খাচ্ছে।
তদন্তে বোঝা গেলো, দুটো মাছ মরে গেছে রাত্তিরে,
মৃতদেহ যেখানে থাকুক, পরিবেশ বিষ হয়ে যায়।
অগত্যা ঘোলা জলে বেঁচে থাকা মাছ ধরে,
জল পাল্টিয়ে দিয়ে তবে শান্তি।


খাবারের দানা ছড়াতেই,
মাছগুলো ছুটে খেতে এলো,
বোঝাই গেলো না, মৃত্যু গিয়েছে ঘুরে একটু আগেই ।


সেদিন দারুণ ভিড় মুরগির দোকানে ,
ভাগাড় কান্ডের পরে
বঁটিতে শিরচ্ছেদের সাক্ষী থাকতে চায় সব্বাই।
সামনের মাটিতে ছিটকিয়ে পড়ে তাজা রক্তের ফোঁটা,
ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে খুচরো পালক,
এবং কুকুরের নজর এড়িয়ে, ঝুঁটি ও চঞ্চুসহ এক দুটো মাথা।


ঠিক পাশেই, বেঁচে থাকা মুরগিরা,
বিক্রীর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত,
নির্বিকার খুঁটে খায় ভুট্টার দানা।


হঠাৎ প্রবল শোরগোল, মার মার চিৎকার।
চোর ধরা পড়েছে।
কি চুরি করছিলো?
কেউ ঠিক জানে না দেখা গেলো।
ওই কি চোর?
সে ব্যাপারে কারোর কোনো সন্দেহ নেই,
প্রথমে কিল চড় ঘুষি,
তারপর লাঠি ইঁট লোহার রড,
এবং অবশেষে থ্যাঁতলানো তোবড়ানো নিথর দেহ পড়ে রইলো,
পুলিশের আসার অপেক্ষায়।


অকুস্থল থেকে অনতিদূরে রোলের দোকানে,
কিশোরীর ঝাঁঝালো গলা শোনা যায়,
‘ এগ চিকেন রোলে সস আর লঙ্কা একটু বেশি করে দিন’


ঢেউ নেই কোনোখানে ,
সামান্য ঘটনা ফেলে জীবন এগিয়ে চলে,
ভাবলেশহীন।


আর্যতীর্থ