। শশা।


আমানত করে বোকা আজ রাম, রহিমেরও তাই দশা
রোজ আম দেবে বলেছিলো যারা, এখন দিচ্ছে শশা।
সেই শশাটাও দেখি খুব বুড়ো ,খাওয়ার যোগ্য নয়,
ব্যাঙ্ক হেসে বলে জমা যা করেছো , তোমার ভোগ্য নয়।


শুনেছি এ দেশে ব্যাঙ্কে থাকুক যত লাখ কোটি টাকা,
একলাখ মোটে নিশ্চিত তার, বীমাতে সে ক্লজ রাখা।
প্রভিডেন্ড ফান্ড কাঁচিয়ে কুচিয়ে ব্যাঙের আধুলি পুঁজি,
এই অবসরে সে অবসরের ভাত মারা গেলো বুঝি।


কোটিপতি হলে শোধ নেওয়া নয়, এমনই নিয়ম ব্যাঙ্কে
এমন মজার ছাড় পেয়ে গেলে, শোধ তবে আর দেন কে।
শিল্পপতিরা যত ঋণ নিন, বিন-সওয়ালেই পান সব,
বাকি নাগরিক ধার নিতে গেলে কে ওয়াই সি নিয়ে তাণ্ডব।


নীরব বিজয় আরও যারা যারা, বাকি জনতার পুঁজি-চোর,
কিসসু হয়নি, কখনো হবেনা যদি থাকে ঠিক খুঁটি-জোর।
কেউ বলবেনা খেলাপী ধনীকে কালো-সিন্দুক দোর খোল,
মাঝে মাঝে হবে মেকি গর্জনে কাগুজে বাঘের শোরগোল।


রাম মেতে থাক মন্দির নিয়ে , রহিম জিহাদি খোয়াবে
অর্থনীতির কামধেনুবাঁট ধনী খেলাপীরা দোয়াবে।
আগামীর খোঁজে ভোটের প্রদীপে আঙুল এত যে ঘষা,
আলাদিন তবু পায়না সুদিন, জ্বিন হাতে দেয় শশা।


আর্যতীর্থ