।শেষ পাতা।


রোজনামচায় বছরশেষে শেষপাতাটায় লিখবো কি যে
ঝরাপাতার গল্প বওয়া আখর ওঠে নিজেই ভিজে।
সুখের রঙের কিছু ঘুঁটি পাকার পরেও সময় খেলো,
কিছু আবার টপকে বাধা জিতের খোপে দিব্যি এলো।
বিষাদ খানিক ট্যাক্স চাপালো, যেমন সবার নিয়েই থাকে,
আমানতে জীবন সবার হিসেব করে দুঃখ রাখে।
অবশ্য দিন বেশির ভাগই, থোড় বড়ি আর খাড়ায় কাটে,
অভিজ্ঞতার ঠোকর খেয়ে, সব পথিকই আস্তে হাঁটে।
মোটের ওপর বছরখানা,  পেরিয়ে গেছে রঙবেরঙে,
আসছে বছর আসবে এবার, দিন চালাতে নিজের ঢংয়ে।


তবুও কিছু হিসেবনিকেশ, বছরশেষে করতে হবে,
অন্ধকারের সাথে আলোর, লড়াই হলো কোথায় কবে।
সেই লড়াইয়ে ভাব জমালাম, স্বার্থ মেপে যাদের সাথে,
ভাবতে হবে, তারা আমায় জোর কি দিলো শিরদাঁড়াতে।
কিছু আঁধার ছদ্মআলো সাজতে পারে খুব সহজে,
সমর্থনে এগোয় যারা, তলিয়ে গিয়ে তবেই বোঝে।
তেমন কোনো আলেয়াতে, ভুলেছি কি ভুলবশত,
নতুন বছর আসার আগে, ভাবাই উচিত তা অন্তত।
রোজনামচায় আর কিছু না, আলো জ্বলুক মনের খাতায়
তা নইলে সাল সংখ্যা শুধু, ক্যালেন্ডারের শুকনো পাতায়।


রোজনামচায় বছরশেষে, শেষপাতাটায় সেটাই লিখি,
শিরদাঁড়াতে সে জোর থাকুক, বাছতে পারি আলোর দিকই।
পঁচিশ কিংবা ছাব্বিশই হোক, যুদ্ধটা তো আছেই জারি,
সত্যি আলোর পক্ষ নিয়ে,  যুদ্ধ চালাক এই আনাড়ি।


আর্যতীর্থ