। শুঁড়ি।


মাছমাংস আক্রা এখন, চাটে দেবেন শাক কি?
হুজুর যদি  শুঁড়িই হবেন, আমরা মাতাল সাক্ষী।
বেচুন হুজুর ঘরে ঘরে, গোয়ালা যেমন দুগ্ধ,
কোরাস গেয়ে চিয়ার্স বলুক যতেক গুণমুগ্ধ ।


ছাপোষা সব সংসারীদের, বাজার জ্বালায় বক্ষ,
নিজের আঁচেই পুড়তে পারে, এমন দামী ভক্ষ্য।
অবশ্য তা সত্যি হলে, পুষিয়ে যেতো খরচায়,
গ্যাস যে এবার হাজার ছোঁবে, উন্নয়নের চর্চায়।


দিনের ঝাপট সামাল দিতে রোজনামচায় হেঁচকি,
পাহাড় প্রমাণ খরচা বাড়ে, রোজগারে সেই রেজকি।
চাকরি গেছে মাতৃভোগে, শিকের ওপর শিল্প,
পেট চালাতে হয়তো এবার আলু পেঁয়াজ ছিলবো।


এ দুর্দিনে শুনবে কি কেউ , শান্তি আনার আর্তি,
ভোটের বেলায় আঁটিশুঁটি, বাকিটা ফাউ বাড়তি।
কেমন করে আসবে সুদিন, কষ্টশেষের কেষ্টা?
হুজুর বলেন ভাববে পরে, এখন মিটুক তেষ্টা।


তেষ্টা এখন জল চায় না, আকন্ঠ চাই মদ্য,
কোটি খরচ তারাপীঠে, এই তো পুজোয় সদ্য।
হুজুর ভারী বুদ্ধি ধরেন, বোঝেন অভিসন্ধি,
দুঃখ এবং দাবীগুলো, বোতল হলেই বন্দী।


কাজেই হুজুর শুঁড়ি হলেন, রাজ্যজুড়ে ঠেক,
মরতে পারে ওই বড়জোর, দু চারটে বিবেক।
বাকি সবাই ঢালবে গলায়, মজায় বিনা বাক্যি
রাজামশাই শুঁড়ি হলে, প্রজা নীরব সাক্ষী।


আর্যতীর্থ