। সিলেবাস।


নেতা হওয়ার জন্য একটা সিলেবাস ও পরীক্ষা থাকলে বেশ হতো
বেশি নয় পাঁচটি পেপার।দেশটাকে জানা তবে অভ্যেস হতো।


প্রথম পত্রে ভারতের ইতিহাস। আই টি সেলের উলটপুরাণ না,
বাদ যাক গেরুয়া সবুজ লাল ইত্যাদি মশলায় রগরগে রান্না
সাদা কালো তথ্যের সাদাসিধা ডালভাত যেন পাতে পড়ে                          থাপার স্মিথ বা সেন পাশ করা আশে যেন হাতে হাতে ঘোরে।


দ্বিতীয় পত্রে সংবিধান। পড়া চাই যাবতীয় ভাষ্য ও টিকা,
আইন জানেননা আইনপ্রণেতারা, বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই প্রহেলিকা,
সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। ধারা প্রবর্তন বা বিলোপের আগে,
হিডেন অ্যাজেন্ডা নয়, রাষ্ট্রের ভাবীকাল মনে যেন জাগে।


তৃতীয় পত্র সাধারণ মানুষ। অধুনা যারা শুধু এক ভোট দামী।
নোট জোট ঘোঁট লোট ইত্যাদি চার উপায়ে কেনা যে প্রণামী,
সেগুলোর অবসান করে সত্তর বছর ধরে চাইছে কী সত্যি জনতা,
সেইসব ভালো করে জেনে, পাশ করে দেখাবেন আগামীর হোতা।


চতুর্থ পত্র হবে আগামীকে নিয়ে। ক্ষমতায় এলে তাঁরা কী করতে চান,
এবং কি ভাবে। রাষ্ট্রকে জাত ভাষা ধর্ম ও বর্ণের আগে দেন স্থান,
এমন দিশারী খুঁজে হয়রান দেশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কাদের স্বপ্ন জুড়ে আছে,
জানা দরকারি, কারা আলো পৌঁছাবে শেষতম আঁধারেরও আনাচেকানাচে।


পঞ্চম পত্রে শুধু বিবেক ও সততা। প্রাচীন ও মৃতপ্রায় এ দুই বিষয়,
যাদের সামনে রেখে পিছু থেকে আ-স্বাধীন লুটপাট হয়,
দেখা যাক তাতে কত নম্বর অর্জন করে ভাবী দুর্গমপথ কান্ডারীকুল,
তবেই তো উপড়াবে আগামীর ভিত খেয়ে ক্রমাগত ফুলে ফাঁপা দুর্নীতিমূল।


সিলেবাস তৈরী, বাকি শুধু গড়ে নেওয়া দেশজুড়ে নেতাদের স্কুল।


আর্যতীর্থ