। তস্কর।


তোমাদের নানা কবিতার থেকে, ভাবনাগুলোকে আমি চুরি করে নিই।
চুপি চুপি সিঁদ কাটি পংক্তির মাঝে, গুঁড়ি মেরে টুকে নিই শব্দচয়ন,
কেপমারি করে তুলি মনে ঢেউ তুলে দেওয়া ছন্দমোচড়,
কোথায় যত্নে তুমি শব্দে গেঁথেছো মালা, নকশাটা কপি করে রেখে দিই মনে।


নিশুত আঁধারে আমি ডাকাতের মতো হানা দিই মলাটের পাঁচিল ডিঙিয়ে,
সুনামী কবিদের তোলপাড় শব্দরা সুনামির মতো ফোঁসে যেই সব বইয়ে,
সেই সব সিন্দুক সবখোল চাবি দিয়ে খুটখাট খুলে দেখি কোথায় গয়না আছে ডাঁই হয়ে পড়ে,
টুক করে সকলের অগোচরে কোঁচড়ে জোগাড় করি মণি ও মানিক।


মাঝে মাঝে, পাহাড়ের কাছে যাই,  আকাশকে চুমু খাওয়া বড় ঝকমকে সেই রত্নপাহাড়,
যার কাছে আপামর বাঙালীর তাবত স্বপ্নগুলো কবিতায় লেখা।
তার পাদদেশে বসে নুড়ি নিয়ে খেলা করি, অবাকে দেখতে থাকি কথাদের গা থেকে আলো ঠিকরোয়।
সেই আলো গায়ে মেখে কত রত্নাকর শেষে বাল্মিকী হলো,
আমি তো নেহাতই এক খুচরো  দুষ্কৃতী।


পাহাড়ের নিচে বসে জমানো চুরির ধন খুলে, দুঃখী কলমটাকে ঘুষ দিতে থাকি।
চুরি করে আনা নানা আভূষণে সেজে, আমার আবেগগুলো  ভঙ্গিমা পায়।


কবিতা ঘটলো কিনা, চোরের আর সেখবরে কি আসে যায়..


আর্যতীর্থ