। তোমাকে বলছি।


প্রজা নও, এখনো অবধি তুমি নাগরিকই আছো।
এখনো তুমিই প্রভু গণতন্ত্রতে। তুমি নেতা বাছো,
যে যতই রাজা সেজে থাক,  বাজুক না যত জয়ঢাক,
তুমিই বানাও আজও  শাসক বিরোধী বা স্রেফ আব্বুলিশ,
তোমার জন্য বাঁচে বিচার ব্যবস্থা আর আমলা পুলিশ,
কক্ষনো উল্টোটা নয়। কখনো যেওনা ভুলে সেই পরিচয়।


গণতন্ত্রতে নেই ভক্তির স্থান, কোনো নেতা উপাস্য নন,
লঙ্কার ভার পেলে যে কেউ স্বজনঘাতী রাজা দশানন,
সুতরাং , পুজো থেকে সাবধান। সামলিয়ে রেখো সংবিধান,
এ বড় মায়ায় গড়া, আগামী স্বপ্নে মোড়া নাগরিক-নথি,
রাষ্ট্রের চেয়ে বড়, সব দ্বার রুদ্ধতে অগতির গতি।
সেখানে স্বাধীনতা, সমানতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ দেখো জ্বলজ্বল করে,
দোহাই সজাগ থাকো , পোকা না ঢুকতে পারে পাতার ভেতরে।


এক লোক এক ভোট, ওখানেই টেনে দিলে সমানতা সীমা,
দেশ মানে যদি শুধু কাঁটাতারে মেপে দেওয়া অক্ষ- দ্রাঘিমা,
তবে গণতন্ত্রটি  মুখোশে আবৃত, আড়ালে স্বৈর যার এখনো জীবিত,
এখনো ইচ্ছা পোষে নাগরিক মানেটা সে পাল্টিয়ে দেবে,
নতজানু প্রজাদের মাথাতে দেবে সে পা দেবতা হিসেবে,
সেই ঠিক করে দেবে কে কতটা ভালোবাসে এ জন্মভূমি,
হলদেটে নথি চিরে বলে দেবে এদেশের কেউ নও তুমি।


আর তুমি, বাধ্য প্রজার মতো সব হুকুম মেনে নেবে বুঝি?
ফেলে যাবে নিকানো উঠোন, চিরকেলে চেনা রুটি রুজি,
পুরাকালে যেরকম যেতো নির্বাসনে, সেরকমই চলে যাবে একুশে শাসনে?
যেও না। দাঁড়াও। তুমি প্রজা নও, ওই নেতাদের মতো তুমি নাগরিক।
গণতন্ত্রে তোমার জায়গা কোথায়, এখনো তুমিই করো ঠিক।
অধিকার কেউ যদি কেড়ে নিতে চায়, রাজা ভেবে ভিক্ষে চেওনা,
তুমিও মালিক এই দেশটার।  বলে দাও , কোথাও যাবোনা।


স্বাধীনতা। সমানতা। ভ্রাতৃত্ববোধ। ওখানে শুরু ও শেষ সব আলোচনা।


আর্যতীর্থ