। তোমার জন্য।


তোমার জন্য আখরগুলো
সংস্কৃতের ঝেঁটিয়ে ধুলো
বোঝার মতন কথ্য হলো
সহজ পাচন পথ্য হলো,
লিখলে যখন সুবোধ গোপাল,
বাংলা ভাষার খুললো কপাল,
মুখের কথাই কলম বেয়ে
লিপির আঙন ফেললো ছেয়ে,
তোমার জন্য জ্বললো আলো
রবীন্দ্রকে পথ দেখালো,
তোমার জন্য বাংলাতে আজ এতটা রোশনাই
অঞ্জলি দিই তোমার পায়ে বর্ণমালা তাই।


তোমার জন্য বালবিধবা,
শুরু করেন নতুন ভাবা,
আবার শুরু শেষের থেকে
প্রমাণ শানাও শাস্ত্র দেখে
সবাই প্রবল বিরোধিতায়,
তোমার তাতে কি আসে যায়
নিজেই নিজের রাস্তা কাটো
কেউ না এলে একলা হাঁটো
তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে,
শুদ্ধু নিজের মনের জোরে
মিটিয়ে দিলে সমাজকালি
বদলে পাও গালি খালি
তাতে তোমার গেছে বয়ে
শিরদাঁড়াটি বাঁকাওনি হে,
যাদের কথা কেউ ভাবেনি তোমার ভাবা চাই
অঞ্জলি দিই তোমার পায়ে বর্ণমালা তাই।


তোমার জন্য খুকির পড়া,
মেয়েদের স্কুল হাতে গড়া,
কুসংস্কার ভাঙতে থাকো
ঘরে ঘরে হাজার সাঁকো,
নারীর সাথে বর্ণমালার।
নেভা প্রদীপ আবার জ্বালার
দায়িত্ব যে তোমার কাঁধে,
আটকে যারা ধর্মফাঁদে
চেঁচিয়ে বলে এ অনাচার
নারী কেন পড়বে আবার
তুমি তাদের ধমকে দিয়ে
শাস্ত্র ধরে চমকে দিয়ে,
প্রমাণ করো বিদ্যেদেবী
অমনতর নন হিসেবী,
শুধুই পুরুষ ভক্ত খোঁজেন
নারীর কথাও দিব্যি বোঝেন।
তোমার জন্য কন্যারা আজ
দিগ্বিজয়ীর পড়েছে সাজ,
এখন হতে পারে তারা যা খুশি ইচ্ছাই,
অঞ্জলি দিই তোমার পায়ে বর্ণমালা তাই।


আর্যতীর্থ