। তর্জনী।


কাজের বেলায় কাজী আর কাজ ফুরোলে বর্জনই,
এমন নিয়ম বহাল রেখে শাসন করেন তর্জনী
যেদিক পানে দেখান তিনি সেদিক চলে প্রজার পাল,
না চললে সে হদ্দ বোকা, নিজেই খোঁড়ে ডোবার খাল।
শাসিয়ে চলেন, ফাঁসিয়ে চলেন, দরজা দেখান বৈরীকে
সোজায় যদি না উঠতে চায়, বেঁকিয়ে তোলেন সেই ঘি-কে।


বুড়ো আঙুল তুচ্ছ নফর, কষ্টে জোটায় পেটের ভাত,
হাত-পাড়াতে থাকছে যে সে, সেটাই নাকি জোর বরাত।
বাকি আঙুল সেই ধারণায়, পাত্তা দেয় না খুব তাকে,
অনামিকা মধ্যমা’রা , তার থেকে বেশ দূর থাকে।
তর্জনী দেন ইচ্ছেহুকুম , আঁজলা হবে না মুঠো,
জনান্তিকে বলছে কারা, বুড়ো বিহীন সব ঠুঁটো।


এক শুধু ওই ভোটের সময়, তর্জনীটির শির ঝোঁকে,
বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে বলেন, খবর কি তোর, সব ও কে?
অঙ্গুষ্ঠ ভাবছে বসে, এ কোন নতুন সূর্য আজ,
বাইরে তখন ভ্রুম ভ্রুম ভ্রুম.. বাইক করে কুচকাওয়াজ।
মাথায় মৃদু চাপ দিয়ে তার তর্জনী কন চিমটিতে,
জানিসই তো কোন বোতামে তোকে হবে টিপ দিতে।
বুড়ো বলে করজোড়ে , টিপসইটাই কাজ আমার,
কোন বোতামে কিভাবে ছাপ আপনি হুজুর মালিক তার।


ভোট কুড়োতে বুড়োতে কাজ , ভোট ফুরালে বর্জনই,
মধ্যমাকে সঙ্গে নিয়ে ভিক্ট্রি দেখান তর্জনী।


আর্যতীর্থ