আর‌ও একটি স্বস্তি-বিস্রস্ত রাত
সূর্যের চিতা ধোয়া জলে
গড়িয়ে দিলে ।
হায় ! মেরুদণ্ডহীন সভ্যতা ।
জয় হোক তোমার মৌনতার;
স্পন্দনহীন পশমের সম্ভ্রান্ত বিনয়ের ।


কোন‌ও এক ঋষি যেন বলেছিলেন-
"সত্য ন জীর্যতি ন মমার ।"
তাঁর জানা ছিল না-
নৈ-ঋত নক্ষত্রের ক্রান্তিবেলায়
আমাদের জন্ম ।
লেহনে, তোষণে, মূর্খ-অবনতায়
ও অপ্রতিবাদে
আমাদের আজন্মের উত্তরাধিকার ।


এখানে কোন‌ও শঙ্খিনী নেই,
গাঙুর নেই, মনসাও নেই বিভীষিকার-
তবু বিষ সারেঙ্গী বাজায়-
পাপ- ডানা মেলে উড়ে অহরহ ।


যে বৃত্তে বাসা বেঁধে আছি আমি-
লোকে তাকে 'সমাজ' বলে ।
এখানে ক্ষমতার লাম্পট্যে সন্ধ্যায় নামে ভোর,
সেজে ওঠে গোলামের স্বর্গ- মাতাল শুকরিয়ায়,
আর নৈ:শব্দ্যের মেহেরবানিতে ।


ধার নেওয়া শব্দের আগ্নেয় নিরক্ষরতা
আর কতটাই বা আখরে আঁকবে তোমায় ?
হে যন্ত্রণা-
তোমাকে সেলাম ।
সেলাম- তোমার দুর্বার ক্ষমতাকে ।
মিথ পুরাণের ভাঙা-গড়ায়
কতবার পাল্টে গেছে
বিশ্বস্ত ভূগোলের মলাট লিখন-
শুধু তোমার ঠিকানায় ক্ষয় নেই ।
আজন্মের অমরত্ব তুমি গ্রাস করেছ ।