তোমার এলিয়ে পড়া চুলে-
সিগন্যাল ভেঙে মত্ত গাড়ি কৃষ্ণচূড়ায় মেশে।
রাত-বিরেতে রুমাল মুখে সূর্য নেমে আসে,
ঝিমিয়ে পড়া চাঁদের গায়ে আলতো চুমু খায়,
তারার মিছিল ফিসফিসিয়ে হাজার গালি পাড়ে,
আলো হতেই পুরুষ সেজে সূয্যি আকাশ চড়ে।


বেলকনির ওই বাঁকা চোখের চাওয়ায়-
ব্রহ্মচারীও আর একটিবার ভাবে!
মাতাল তখন ওই বোতলের সমুদ্দুরে ডুবে।
বাধ্য খোকা চুলকে মাথা লেজ গুটিয়ে পালায়,
বয়স আশি ঘাড় ঘোরাতেই হোঁচট খেয়ে মরে,
তোমার গন্ধেই যেন কোন যাদুকর চুটিয়ে মন্ত্র পড়ে।


তোমার নি:শ্বাসে যে আগুনপাখির বাস!
ও যে শবের গায়ে ফাগুন ছেটায়,ঘটায় সর্বনাশ!


তাই মরণ-চিতার উল্মুকও গায় শহর চিরে সাঁঝবেলাতে
গাঁয়ের পথের ধুলোয়মাখা জীবন ছোঁয়া গান।