শান্তিনিকেতন থেকে মুঠো মুঠো শান্তি কুড়িয়ে
ঝোলা কাঁধে ফিরেছিল সে।
একই রকম প্রাণোচ্ছ্বলতা আর
অনেকটা প্রত্যাশা নিয়ে সেদিনই,
কুয়াশার দাপটে জড়সড় রাত্রি যখন
হাই তুলে পাশ ফিরে শোয়,
আমার মুঠোফোনে হঠাৎ এক বার্তা পেলাম তার-
"তোমার জন্যে রবিঠাকুরের পত্রাবলির গ্রন্থ এনেছি।"
আমি তখন বেজায় খুশি।
উত্তর লিখবো, এরই মধ্যে ঝড়ের বেগে বার্তা এল ধেয়ে-
"কবি, বইটি পড়ে আমার জন্য লিখতে হবে তোমায়।
কবিতা, হ্যাঁ হ্যাঁ লিখতেই হবে।
এটা আমার অনুরোধ।
তুমি লিখবে তো?"
বললাম, "চেষ্টা করে দেখতে পারি।
কবিতা যে তোমার ঠোঁটেই জীবন খুঁজে পায়।
তুমিও তো লিখতে পারো।
তোমার বিক্ষিপ্ত সব কথাগুলো
এক সুতোতে গাঁথলেই তো কবিতা হবে।"
বার্তা এলো-
"আমার কথা ! হাসালে... আমি কে?"
বলেছিলাম, "সময় তারিখ লিখে রেখো।
পত্রাবলি পড়েই নাহয় তোমার সংজ্ঞা বুঝিয়ে দেবো !"


আজ বছর শেষে পত্রাবলি পড়া হলো।
মৃণালিনী ক্যামন যেন !
তবে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ'ই - নতুন করে খুঁজে পেলাম।
সংজ্ঞাও আজ স্পষ্ট হলো-
বলতে পারি মেঘহীন এক আকাশ তুমি।
উৎসাহ আর উদ্দীপনায় ভীষণ রকম রঙিন।
তুমি খুব সহজে মিশতে পারো পাহাড় চূড়ায়,নদীর স্রোতে।
কন্ঠে তোমার রাহাজানির বিদ্যে ভরা।
কাদম্বরীর দোসর তুমি।
নাছোড় স্নেহে লিখিয়ে নিচ্ছ কচি হাতে পাওনা তোমার।
আসল কথা-
বিজয় তোমার রক্তে লেখা।
তাই তো তুমি বিজয়িনী, সবার সেরা।