আমি তো কঠিন হতে চাই ।
তোমরাই তো সহজ করে তোলো ।
দেখার যত জ্বালা, না দেখার‌ও ঠিক ততটাই !


ও বাড়ির নুয়ে পড়া জবা ফুলের দিকে তাকালে
আমি কেমন মিশতে চাওয়ার ইশারা খুঁজে পাই ।
সব লালেই কি আর রক্ত লেগে থাকে !


আকাশে বিদ্যুৎ কেঁপে কেঁপে
উধাও হয়ে যায় ।
আমি কোনো এক
ছিনতাই করা বালকের
সব ভেঙে চুরে ঘরে ফেরার কান্না শুনি ।


কেমন পাগল পাগল মনে হয় !
মানুষ আসলে যা চায়, আসলে কি তা-ই চায় ?


ঘর !
ঘর আছে ।
যেমন করে ঘর থাকে
কিংবা থাকতে হয় !
চাইলেই কি ঘরে ফেরা যায় ?
ফিরলেই কি বেঁচে যাওয়া যায়, বলো !
কত ঘরেই তো ঘরভর্তি মানুষ দেখি,
জীবন দেখি না কেন !
কত মোটা মোটা দড়ি
অবহেলা বেঁধে রাখে সযত্নে ।
দেখি না তো ! বেঁধে রাখার স্বপ্নে
এগিয়েছে দুটো হাত কিংবা একটা হৃদয়-
হৃদয়ের কাছাকাছি নিঃশর্তে !


এই যে আলো নিয়ে এত কাড়াকাড়ি,
এত হ‌ইচ‌ই,
তবু চায়ের চুমুকে সন্ধ্যায় ডোবা চাই ।
মানুষ আড়াল খুঁজে খুঁজে
বেঘোরে হারিয়ে গেলে
দোষী হয় অন্ধকার, কালো বলে ।
অথচ কিছু অন্ধকার, এখন‌ও আড়ালে
আলোর প্রশ্রয়ে
সোনালি স্বপ্নের আশ্রয় হয়ে বাঁচে ।
পৃথিবীর সব অন্ধকার
বনলতা সেনের চুলের নিশায়, বিদিশায়
নিলাম হয়ে যায়নি এখন‌ও ।


তোমরা আসলে যা চাও, আসলে কি তা-ই চাও ?
একবার বলে যেও,
একবার বলে যেও
কথা ফুরিয়ে গেলে, কেন কলঙ্ক রটিয়ে দাও !