মৃত মুহূর্তেরা শব্দের বশ মানেনি নন্দিনী ।
নতুন করে লেখা হয়নি অনেক কিছু ।
সে বরং ভালোই হয়েছে ।
আজগুবি ঝড়, খরা, মরা, কান্নার মিছিলে
শব্দকে পণ্য করতে
আজ বড় গায়ে লাগে ।


আমার শব্দ স্বপ্নের কথা বলুক,
সত্যের কথা বলুক,
সময়ের শরীর জুড়ে গড়ুক না এক
ভালোবাসার শব্দমহল ।
তার তোরণ পেরিয়ে
যদি কোন‌ও ফিরতি ফাগুন
বেখেয়ালেই উড়ে আসে-
কোন‌ও জোড়-ভাঙা শালিকের
চিবুক ছুঁয়ে যদি বলে-
এই বসন্তে শক্ত করে বাঁধব চলো-
আবির রঙের ভালো-'বাসা'...
আমি না হয় শব্দসুখের উষ্ণতা ছেকে নেবো ।
এতেই আমার ঢের ।
যখন জেনেই ফেলেছি-
সর্বনাশের আর এক নাম বসন্ত ।


যে শব্দ আমার যন্ত্রণাকে ধারণ করে-
সে আমার দাস নয়,
সে আমার প্রেম, আমার ঈশ্বর ।
তার বুকেও যে কত পার ভাঙা ঢেউ
দাসত্বের জ্বালায় বারুদ ছড়ায়
সে তো আমি জানি নন্দিনী ।


কত মানবীর প্রেম উপেক্ষা করেছি-
শুধু শব্দ ছিল বলে ।
সে খবর কেউ না জানুক-
জানে আমার চৈতী নদীর ঢেউ,
তার অনাত্মীয় মোহনা,
চোরাচোখের চাঁদ,
আমার বেদুইন ভায়োলিন,
আর এক বিষণ্ণ বাইপাস ।


হয়তো জানো তুমি, কিংবা
তোমার মতো অনেক তুমি ।
আমার মতো অনেক আমি‌র
স্বপ্নবোনা শব্দ-জমিতে যাঁরা
আখরে আখরে
'চরৈবেতি' মন্ত্র ছড়ায় ।